কলকাতা: জামাটা তুলতেই বেরিয়ে পড়েছিল কোমরে গোঁজা আগ্নেয়াস্ত্রর বাঁটটা। সেটা দেখিয়ে ঠান্ডা গলায় হুমকি দিয়েছিল যুবক, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গুন্ডা ট্যাক্সের পাঁচ লক্ষ টাকা পৌঁছে দেবেন। নাহলে একটা গুলিও বাইরে যাবে না।


হ্যাঁ, গুন্ডা ট্যাক্স। তোলার নতুন পোশাকি নাম।

দিনটা ছিল ১৬ ফেব্রুয়ারি। সেদিনের হুমকির পর থেকে আতঙ্কে দক্ষিণ কলকাতার এই রেস্তোরাঁ মালিকের ঘুম উড়ে গিয়েছে। দুশ্চিন্তা আরও বাড়িয়েছে গুন্ডা ট্যাক্স চেয়ে পাঠানো দুষ্কৃতীর নাম, শেখ বিনোদ। মাদক পাচার, খুন, অপহরণ, তোলাবাজির একাধিক মামলায় অভিযুক্ত, দীর্ঘদিন জেল খাটা একদা কলকাতার ত্রাস।

পার্ক সার্কাসের রেস্তোরাঁর মালিক হাসান মির্জার দাবি, তোলা চেয়ে উৎপাত শুরু হয়েছে জানুয়ারির শেষ থেকে। ২৮ জানুয়ারি রাতে বাইকে চড়ে রেস্তোরাঁয় আসে ৪-৫ জন যুবক। অভিযোগ, সটান মালিকের কাছে গিয়ে তারা একটা মোবাইল ফোন বাড়িয়ে দেয়। বলে, নিন কথা বলুন। রেস্তোরাঁ মালিকের দাবি, ফোনের ওপার থেকে শেখ বিনোদ পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি তাঁকে বলে, দোকান তো আগের থেকে অনেক ভাল চলছে। পাঁচ লক্ষ টাকা গুন্ডা ট্যাক্স পাঠিয়ে দেবেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রেস্তোরাঁ মালিক বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখনই বাইক নিয়ে তাঁর সামনে এসে দাঁড়ায় দুই যুবক। অভিযোগ, রেস্তোরাঁ মালিককে জোর করে পাশের গলিতে নিয়ে গিয়ে তারা প্রথমে সপাটে এক চড় মারে। তারপর কোমরে গোঁজা আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে বলে, ৪৮ ঘণ্টায় টাকা না দিলে খুন করে দেব।

আপাতত রেস্তোরাঁ মালিক কড়েয়া থানায় শেখ বিনোদ, ভারতী পারভেজ সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে তাতেও ভয় পুরোপুরি কাটছে না। তাঁর প্রশ্ন, যারা ভরদুপুরে এভাবে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে হুমকি দিতে পারে, তাদের কাছে খুন করা কি খুব কঠিন ব্যাপার! তারা কি আদৌ পুলিশকে ডরায়?