কলকাতা:  পয়লা জুলাই থেকে দেশজুড়ে চালু হবে জিএসটি। কিন্তু, এর ফলে সাধারণ মানুষের লাভ হবে, না ক্ষতি? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?


জিএসটি, গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স। এই মুহূর্তে দেশে যাবতীয় রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এই ব্যবস্থা।

শুক্রবার রাত বারোটায় সংসদের সেন্ট্রাল হলে মধ্যরাতের বিশেষ অনুষ্ঠানে ঘণ্টা বাজিয়ে তা কার্যকর করবেন প্রধানমন্ত্রী। চালু হবে এক দেশ, এক কর। মুখে মুখে এসব তো প্রচার হয়েই গিয়েছে। কিন্তু, এতে সাধারণ মানুষের কিছু যায় আসে না। তাঁরা জানতে চান, এতে লাভ হবে, না ক্ষতি?

বিজেপির দাবি, জিএসটি-তে আদতে সাধারণ মানুষের লাভই হবে।

কারণ, এতদিন কোনও পণ্য বা পরিষেবার জন্য হাজারও রকমের কর দিতে হত।

যেমন-- উৎপাদন শুল্ক, আমদানি শুল্ক, পরিষেবা কর, সেস, যুক্তমূল্য কর, বিনোদন কর। কিন্তু, পয়লা জুলাই থেকে সেই ব্যবস্থা উঠে দেশজুড়ে একটিই কর চালু হবে। ফলে পরোক্ষ কর ব্যবস্থা অনেক সরল হবে।

গোটা দেশ একটি বাজারে পরিণত হবে বলে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্য পণ্য নিয়ে যেতে কোনও চেক পোস্ট থাকবে না। ফলে পণ্য পরিবহণের খরচ ও সময় কমবে।

সেই সঙ্গে জিএসটি চালু হলে জিনিসপত্রের দাম কমবে বলেও দাবি বিজেপির।

তবে পাল্টা যুক্তিও রয়েছে। ছোট ব্যবসায়ীদের দাবি, জিএসটি হবে পুরোপুরি অনলাইনে। অথচ, অনেকের কাছে তার জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো অর্থাৎ কম্পিউটার, ইন্টারনেটই নেই।

এছাড়া জিএসটি-তে প্রত্যেক করদাতাকে মাসে তিনটি এবং বছরে একটি করে রিটার্ন ফাইল করতে হবে। তার জন্য ব্যবসায়িক লেনদেনের পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসেব রাখতে হবে। যা ছোট ব্যবসায়ীদের পক্ষে সমস্যার।

এই প্রেক্ষিতে তাদের দাবি, জিএসটি কার্যকর করার আগে আরেকটু সময় দিলে ভাল হত। এনিয়ে সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

বিজেপি দাবি করছে, জিএসটি চালু হলে কর্মসংস্থান তৈরি হবে। কর ফাঁকি বন্ধ হবে। সাধারণ মানুষের অনেক লাভ হবে।

শিল্পমহল ও অর্থনীতিবিদদের একাংশ বলছে, জিএসটির ফলে বেশ কিছু ক্ষেত্রে লাভ হবে।

পাল্টা আবার ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবি, জিএসটির ফলে তাদের চরম ক্ষতি হবে। যার জেরে ধর্মঘটের রাস্তায় হেঁটেছে তারা। শনিবার থেকে দেশজুড়ে চালু হয়ে যাচ্ছে জিএসটি। তারপর কী হবে, আপাতত দুরুদুরু বুকে সেই অপেক্ষায় সকলে।