কলকাতা: দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে ৯২ লক্ষ পেরিয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৩৪ হাজার ৬৯৯ জনের। বেশ কয়েক দিন পর ফের দৈনিক সংক্রমণ ছাপিয়ে গিয়েছে সুস্থ হওয়ার সংখ্যাকেও।


এই পরিস্থিতিতে করোনার ভ্যাকসিন কবে আসবে তা নিয়ে নিশ্চয়তা দিতে পারেননি খোদ প্রধানমন্ত্রী। করোনা রুখতে সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক পরার কথা বারবার বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ মাস্ক পরার ফলে অনেকেরই নানারকম সমস্যা দেখা দিচ্ছে।


মুখে মাস্ক থাকায় শরীর থেকে নির্গত কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃশ্বাসের সঙ্গে ফের টেনে নিতে বাধ্য হতে হচ্ছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা মাস্ক পরার ফলে কেউ কেউ খুব ক্লান্তি হয়ে পড়ছেন।


মাস্কের মধ্যে অতিরিক্ত আর্দ্রতার জন্য ফাংগাল ইনফেকশনের আশঙ্কাও বাড়ছে। মাস্ক পরে কথা বললে শুনতেও সমস্যা হচ্ছে।


এই সমস্যাগুলো মাথায় রেখেই ২০১৮ সালে গবেষণা শুরু করে সল্টলেকের এস এন বোস ন্যাশনাল সেন্টার ফর বেসিক সায়েন্সেস। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে গবেষণা শেষে অ্যাক্টিভ রেসপিরেটর মাস্ক এনেছে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীনস্থ এই সংস্থা।


সংস্থার গবেষক সমীর কান্তি পাল বলেন, মাস্ক পরে যারা কথা বলেন, তাঁদের মৃত্যুর হার অনেক বেশি। ২০১২ তে অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানী ব্রায়ান ডেভিস শুরু করেছিলেন। আমরা ২ বছর আগে কাজ শুরু করি, মাস্ক পরলে বেশ কিছু অসুবিধা হয়।


গবেষকদের দাবি, অ্যাক্টিভ রেসপিরেটর মাস্ক ব্যবহার করলে মাস্কের ভিতরে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ কমবে। এই মাস্ক পরে কথা বললে সামনের ব্যক্তি ৮০ শতাংশ পর্যন্ত পরিষ্কার শব্দ শুনতে পাবেন।


মাস্কের সঙ্গে রয়েছে একটি পোর্টেবল ব্যাটারি, একবার চার্জ করলে দু’দিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যেতে পারে। মাস্কে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গার্ড, যা টানা একমাস ব্যবহার করা যেতে পারে। একমাস পর রেসপিরেটরি খুলে ব্যবহার করা যেতে পারে অন্য মাস্কের সঙ্গে।


ইতিমধ্যেই একটি বেসরকারি সংস্থা অ্যাক্টিভ রেসপিরেটর বিপণন শুরু করেছে। পাওয়া যাচ্ছে অনলাইনে।