কলকাতা: বড়বাজারে শনিবার বিকেলে গুলিকাণ্ডের তদন্তে নেমে পুলিশের সামনে এল দুষ্কৃতীদের রাজস্থান যোগের খবর। সামনে উঠে এল হাওয়ালা ব্যবসার কারবারও।


বড়বাজারের ১৬৫ নম্বর রবীন্দ্র সরণির এক বাড়িতে গতকাল বিকেল ৪ টে নাগাদ গুলি চলে। কিছুক্ষণের মধ্যে মুখে মাস্ক বাঁধা চারজনকে ছুটে পালাতে দেখেন স্থানীয়রা। তিনজন পালিয়ে গেলেও একজনকে ধরে ফেলেন তারা। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ও সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অফিসের প্রাক্তন এক কর্মী সহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে একজনকে।

পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই অফিসে হাওয়ালার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার লেনদেন চলত। বড়বাজারে অপারেশনের আগে দুষ্কৃতীরা হাওড়া ও হুগলির রিষড়ার দুটি গেস্ট হাউসে আশ্রয় নেয়। সেখানে বসেই কষা হয় ছক। পুলিশের দাবি, এদের মধ্যে এক দুষ্কৃতী আগে হাওয়ালা কারবারের সঙ্গে যুক্ত ছিল। সে এই অফিসেই কাজ করত।

শনিবার রবীন্দ্র সরণির ওই পাঁচতলা অফিসে হানা দেয় ৪ দুষ্কৃতী! ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় গুলি করে দুষ্কৃতীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রামাবতার পারেথ নামের এক ব্যবসায়ী। তাঁর বুকে লেগেছিল দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া গুলি। ঘটনার পর পরই ছুটে আসে বড়বাজার থানার পুলিশ। পরে তারা ধৃত কৃষ্ণরাম মালি ও অক্ষয় শর্মার বিরুদ্ধ লুঠ, খুনের চেষ্টা ও অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করেছে।

শুধু কি ডাকাতির উদ্দেশ্যে এসেছিল দুষ্কৃতীরা? লুঠে বাধা পাওয়ার কারণেই কি গুলি? না কি এর পিছনে রয়েছে অন্য রহস্য? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।