কলকাতা: সকাল থেকে কয়েক পশলা বৃষ্টি। তাতেই জল থৈ থৈ শহরের বিভিন্ন অংশ। শ্লথ হয়ে যায় যানবাহনের গতি। ফলে যানজটের ফাঁসে আটকে পড়েন পথচারীরা।


দুপুর পৌনে দু’টো নাগাদ সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে দেখা যায় গাড়ির লম্বা লাইন। আটকে পড়ে মন্ত্রী শশী পাঁজার গাড়িও। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের কাছেও তখন যেদিকে চোখ যাচ্ছে, সেদিকেই শুধু জল আর জল।

এদিন শোভাবাজারের কাছে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন মেয়র। শহরের বিভিন্ন রাস্তায় জল দাঁড়ানোর কথা শুনে অনুষ্ঠান সংক্ষেপে সেরেই তিনি চলে যান পুরসভার কন্ট্রোল রুমে। রবিবারই তিনি জার্মানি যাচ্ছেন। তার আগে মেয়র পারিষদ এবং ইঞ্জিনিয়রদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন।

বিকেল সোয়া চারটের সময় বিধান সরণি, ঠনঠনিয়া কালীবাড়ির কাছে গিয়ে দেখা যায় সেখানে তখনও জল দাঁড়িয়ে রয়েছে। বিকেল পাঁচটায় সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ দেখে বোঝা দুষ্কর রাস্তা না সমুদ্র। সন্ধে ছ’টাতেও পরিস্থিতির বিশেষ উন্নতি হয়নি। মহাত্মা গাঁধী রোডে দেখা যায় জমা জলের মধ্যে দাঁড়িয়ে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে কার্যত হিমশিম খাচ্ছেন ট্রাফিক পুলিশকর্মী।

শনিবার দুপুর থেকে বালিগঞ্জ পাম্পিং স্টেশনে সিইএসসির বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় জল বার করা যাচ্ছিল না। দ্রুত তা সারানোর বন্দোবস্ত করা হয়। দুপুরে বিবেকানন্দ রোডে একটি গাছ ভেঙে পড়ে। বিকেলে তা কেটে সরানো হয়।

অন্যদিকে, এদিন প্রবল বৃষ্টিতে হাওড়ার নরসিংহ দত্ত কলেজের পুকুর উপচে জল চলে আসে মাঠে। সীমানা বুঝতে না পেরে পুকুরে পড়ে তলিয়ে যান এক ছাত্র।