কেষ্টপুর:  কেষ্টপুরে তালাবন্ধ বাড়িতে গৃহবধূর কম্বল জড়ানো দেহ উদ্ধার। দেহে আঘাতের চিহ্ন, সিগারেটের ছ্যাঁকার দাগ। স্ত্রীর সঙ্গে একাধিক পুরুষের সম্পর্কের অভিযোগ করে থানায় খুনের কথা কবুল স্বামীর।


থানায় হঠাত্‍ হাজির এক ব্যক্তি।

ঢুকেই বললেন, আমার স্ত্রী বেঁচে আছে না মারা গেছে জানি না। আপনারা চলুন। হতভম্ব বাগুইআটি থানার পুলিশ!!

ওই ব্যক্তির সঙ্গে গিয়ে কেষ্টপুরে তালাবন্ধ বাড়ি থেকে উদ্ধার গৃহবধূর কম্বল জড়ানো দেহ।

পুলিশ গ্রেফতার করেছে রণি সাহা নামে বছর ৩৫-এর ওই ব্যক্তিকে।

পুলিশের দাবি, জেরার মুখে পেশায় গাড়ির চালক রণি জানিয়েছেন,

কেষ্টপুরের উদয়ন পল্লির বাসিন্দা বেবি পোদ্দাদের সঙ্গে কয়েক মাস আগে আলাপ হয় সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটে। আলাপ থেকে প্রেম, প্রেম থেকে বিয়ে। পুলিশ জানতে পেরেছে, এটি দু’জনেরই দ্বিতীয় বিয়ে।

বিয়ের আগে থেকে রণি থাকতেন কেষ্টপুরের রবীন্দ্রপল্লির এই ভাড়াবাড়িতে। বিয়ের পর সেখানে আনেন স্ত্রীকে।

শনিবার ঘরে তালা দিয়ে বেরিয়ে যান রণি। সোমবার দুপুরে হাজির হন বাগুইআটি থানায়।

পুলিশের দাবি, রণি বলেন,

শনিবার স্ত্রীকে প্রচন্ড মারধর করেছিলাম। স্ত্রী অচৈতন্য হয়ে পড়ে যায়। সেই অবস্থায় তালা বন্ধ করে চলে যাই। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে থাকি। স্ত্রী-বেঁচে আছে না মারা গেছে জানি না, আপনারা চলুন।

এরপরই রণির সঙ্গে কেষ্টপুরের ভাড়াবাড়িতে আসে পুলিশ।

তালার চাবি হারিয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেন রণি। এরপর তালা ভেঙে পুলিশ দেখে,

ঘরের মধ্যে খাটের ওপর পড়ে মহিলার কম্বল জড়ানো দেহ। দেহে আঘাতের চিহ্ন, সিগারেটের ছ্যাঁকার দাগ। পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।

কিন্তু কেন বিয়ের মাস দেড়েকের মধ্যেই সম্পর্কের এই পরিণতি? কেন স্ত্রীকে মারধর?

পুলিশের দাবি, রণি জানিয়েছেন, স্ত্রীর সঙ্গে অন্য পুরুষের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তা তিনি মেনে নিতে পারেননি। কিন্তু শুধুমাত্র সম্পর্কের অবণতি? নাকি, খুনের নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ। খুনের মামলা রুজু করে খতিয়ে দেখছে পুলিশ।