কলকাতা:  কোথাও অশান্তি চললে, তা বন্ধ করতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। কেউ উস্কানি দিলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বসিরহাট-বাদুড়িয়াকাণ্ডে জোড়া জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে রাজ্যকে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। এনআইএ-তদন্তের আর্জির বিষয়ে কেন্দ্রকে হলফনামা দিতে নির্দেশ।

বসিরহাট-বাদুড়িয়ায় অশান্তির ঘটনায় জোড়া জনস্বার্থ মামলার প্রথম শুনানি। বুধবার সওয়াল-জবাবের পর কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রে ও বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়,

কোথাও কোনও অশান্তি চললে, তা বন্ধ করতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে প্রশাসনকে। কেউ উস্কানি দিলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, বসিরহাট-বাদুড়িয়াকাণ্ডে ইতিমধ্যেই বিচারবিভাগীয় কমিশন গড়েছে রাজ্য। তাই এই মুহূর্তে আদালতের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই।

সম্প্রতি, একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে অশান্তি ছড়ায় উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া ও বসিরহাটে। পোড়ে ঘর, পুলিশের গাড়ি, দোকান-পাট, ঘরছাড়া হন বহু মানুষ।

ঘটনা ঘিরে তুঙ্গে ওঠে তৃণমূল-বিজেপি তরজা। এক পক্ষের দাবি, গোটাটাই ষড়যন্ত্র। প্রশাসনিক ব্যর্থতার অভিযোগ তোলে আরেক পক্ষ। এই পরিস্থিতিতে, বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

এই প্রেক্ষাপটে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি-র নির্দেশ, কবে, কখন, কী উদ্দেশ্যে বিচারবিভাগীয় কমিশন গঠন করা হয়েছে, তা ২১ জুলাইয়ের মধ্যে  হলফনামা দিয়ে রাজ্যকে জানাতে হবে। অশান্তি রুখতে পুলিশ-প্রশাসন কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তাও জানাতে হবে হলফনামায়।

কেন্দ্রকেও হলফনামা দিতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জানান,

অশান্তির ঘটনায় এনআইএ তদন্তের যে আর্জি জানানো হয়েছে, তা নিয়ে কেন্দ্রকে, তাদের মতামত জানাতে হবে।

বসিরহাট-বাদুড়িয়াকাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টে সম্প্রতি ২টি পৃথক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। প্রথম মামলাটি বিজেপির আইনি সেলের তরফে দায়ের করেন সুষমা দত্ত। অপর মামলাটি করেন স্বরূপ দত্ত নামে এক ব্যক্তি। ২টি মামলারই একসঙ্গে প্রথম শুনানি হয় এদিন। পরবর্তী শুনানি ২১ জুলাই।