ধূপকাঠির নানা ব্যবহার। অনেকে ব্যবহার করেন বাড়ি থেকে মশা তাড়াতে। এ ধরনের ধূপকাঠিগুলো ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি ও চিকুনগুনিয়ার মত রোগ থেকে মানুষকে নিরাপদে রাখে।


কিন্তু ধূপকাঠি জ্বালানোর মূল উদ্দেশ্য পরিবারকে নিরাপদে রাখা হলেও সস্তা ও ভেজাল ব্র্যান্ডের মশা মারার ধূপ তৈরি হয় এমন কিছু রাসায়নিক দিয়ে, যা নানাভাবে শরীরের ক্ষতি করে। মূলত গ্রামের দিকে এ ধরনের ধূপ দারুণ জনপ্রিয় কারণ কাজ করে দ্রুত আর শরীরে এগুলোর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা কম। ক্রেতারা জানেনই না, এই সব ধূপকাঠি তৈরি হয় বেআইনি  ও নিষিদ্ধ কীটনাশক দিয়ে, তারপর তা বাজারে ছড়িয়ে পড়ে।


মসার হাত থেকে বাঁচতে সরল বিশ্বাসে ক্রেতারা এসবই কিনছেন, জানেন না, এই সব বেআইনি নিষিদ্ধ আগরবাতি থেকে মারাত্মক অসুস্থতার সম্ভাবনা রয়েছে। তাঁরা ভাবছেন, এগুলো সব প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি। কীটনাশকে তৈরি ধূপকাঠি জ্বালালে সেগুলো থেকে এক ধরনের বিষাক্ত গ্যাস বার হয়, যার ফলে জিনগত অসুস্থতা, হাঁপানি, শ্বাসপ্রশ্বাস জনিত অসুখ, ত্বকে সমস্যা ও স্নায়ুগত অসুস্থতা দেখা দিতে পারে।


ইদানীং শীত পড়লে ছোট ছেলেমেয়েদের শ্বাসপ্রশ্বাস জনিত অসুস্থতা চোখে পড়ার মত বেড়ে যাচ্ছে। অতএব আমরা যে সব কেনাকাটা করছি, সে ব্যাপারে আমাদের আরও সাবধান হতে হবে। আমাদের লক্ষ্য হল, তাঁরা যে জিনিসপত্র ব্যবহার করছেন সে সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা, যে জিনিস সরকারিভাবে পরীক্ষা করা ও সরকারি (সেন্ট্রাল ইনসেক্টিসাইড বোর্ড) সিলমোহর পাওয়া, সেগুলোই ব্যবহার করা উচিত, যাতে স্বাস্থ্য সব থেকে গুরুত্ব পায়।


এছাড়া বাড়িতে ব্যবহার করা এই সব কীটনাশকও যে সেন্ট্রাল ইনসেক্টিসাইড বোর্ড বা সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থার সিলমোহর প্রাপ্ত হওয়া উচিত, সে ব্যাপারে ক্রেতাদের মধ্যে সচেতনতা নেই। এতএব আমাদের উচিত, এমন সব জিনিসপত্র ব্যবহার করা যেগুলো ভারত সরকার নিরাপদ বলে সার্টিফিকেট দিয়েছে। গুড নাইটের সমস্ত জিনিসপত্র ভারত সরকারের অনুমোদনপ্রাপ্ত, এবার তারা গুড নাইট ন্যাচারালস নামে ১০০ শতাংশ প্রাকৃতিক ধূপকাঠি এনেছে বাজারে। এর মধ্যে আছে নিম ও হলুদ যা মশা তাড়ায় তো বটেই, ৩ ঘণ্টা পর্যন্ত সুরক্ষাও দেয়। শিশুবৃদ্ধ সকলের জন্যই এই ধূপকাঠি নিরাপদ। গুড নাইটকে ভরসা করেন সারা দেশের মানুষ, ৭ কোটি ৭৬ লক্ষের বেশি পরিবার এই গুড নাইট ন্যাচারালসে ভরসা রেখেছেন। এর দাম অত্যন্ত পকেটসাধ্য, ১০টা কাঠির দাম মাত্র ১৫ টাকা।


কী কিনছেন তা নিয়ে ভালভাবে বিচার করলে আপনার পরিবারের স্বাস্থ্যরক্ষা হতে পারে!