কলকাতা: প্রভাবশালী তত্ত্বকে হাতিয়ার করেই মদন মিত্রের জামিনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাচ্ছে সিবিআই। প্রভাবশালীর সংজ্ঞা কি? পাল্টা প্রশ্ন মদন মিত্রের আইনজীবীর।


 

প্রাক্তন মন্ত্রী মদন জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বলেছেন, ‘আমি এখন একা। প্রভাব আর নেই। হাতিশালে হাতিও নেই, ঘোড়াশালে ঘোড়াও নেই।’

 

সিবিআই কিন্তু মদনের বিরুদ্ধে ফের প্রভাবশালী তত্ত্বকেই হাতিয়ার করতে চলেছে। এর আগে ২০১৫-র অক্টোবরে নিম্ন আদালত থেকে জামিন পেয়েছিলেন মদন মিত্র। জামিনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যায় সিবিআই। ১৮ দিনের মাথায় জামিন খারিজও করে দেয় হাইকোর্ট। এবারও প্রভাবশালী তত্ত্বে অনড় থেকে আলিপুর জেলা ও দায়রা আদালতের জামিনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যাচ্ছে সিবিআই।

 

সিবিআই-এর আইনজীবী কে রাঘবচারুলু বলেছেন, ‘খুব শীঘ্রই আমরা আদালতে জামিন খারিজের আবেদন জানাব।’ তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, প্রভাবশালী তত্ত্ব খাড়া করতে মদনকে নিয়ে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্যকেও অস্ত্র করতে চলেছেন তাঁরা। পার্থ বলেছিলেন, ‘মদনের মতো সমাজসেবীকে ৬২৯দিন জেলে থাকতে হল। তাও দলের নেতা হিসেবে দলের সঙ্গেই ছিলেন, আর্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।’ পার্থর এই বক্তব্যই আদালতে তুলে ধরবেন সিবিআই-এর আইনজীবী।

 

মদন মিত্রর আইনজীবী মিলন মুখোপাধ্যায় অবশ্য সিবিআইয়ের প্রভাবশালী তত্ত্বের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘প্রভাবশালী মানে কি? মানুষের উপকার করলে, তাদের ভালবাসা পেলে, যিনি ২১ মাস জেল খাটলেন তিনি প্রভাবশালী? যে দু’জন বাইরে রয়েছে, তাদের টাচ করেনি, সিবিআইয়ের রাইট আছে, অ্যাপিল করতেই পারে, সুদীপ্ত সেনের জামিন খারিজের আবেদন জানায়নি কেন?’

 

সিবিআই অবশ্য হাইকোর্টে জামিন খারিজের আবেদন নিয়ে আশাবাদী। আগের মতোই এবারও হাইকোর্ট মদনের জামিন খারিজ করে দেবে বলে আশা করছে সিবিআই। পাল্টা যুক্তি খাড়া করেছেন মদন মিত্রর আইনজীবীও। সবমিলিয়ে তুঙ্গে প্রভাবশালী-টানাপোড়েন। সিবিআই সূত্রে খবর, নিম্ন আদালতের রায়ের কপি হাতে পাওয়ার ২-১দিনের মধ্যেই হাইকোর্টে মদন মিত্রের জামিন খারিজের আবেদন জানাবে তারা।