কলকাতা: যাদবপুরকাণ্ডে প্রথম থেকেই প্রশ্নের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সংসদের ভূমিকা। এই প্রেক্ষাপটে, তাদের ক্ষমতা খর্ব করার সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ। মন্তব্যে নারাজ প্রাক্তনী সংসদ।
মঙ্গলবার, প্রাক্তনী সংসদের পাঁচ সদস্যের সঙ্গে বৈঠক করেন উপাচার্য। বৈঠক শেষ উপাচার্য জানান, এখন থেকে ত্রিগুণা সেন অডিটোরিয়াম ভাড়া নিতে হলে কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাতে হবে। প্রাক্তনী সংসদ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সমন্বয় রেখে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
এই ত্রিগুণা সেন অডিটোরিয়ামে সিনেমা দেখানো নিয়েই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে  গণ্ডগোলের সূত্রপাত। অডিটোরিয়ামটি ব্যবহার করতে হলে প্রাক্তনী সংসদের অনুমতি নিতে হয়। আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠন এবিভিপির উদ্যোগে ‘বুদ্ধ ইন এ ট্রাফিক জ্যাম’ ছবিটি দেখানোর জন্য তারাই প্রথমে অনুমতি দিয়েছিল।
কিন্তু, শেষমুহূর্তে ওই ছবি দেখানোর অনুমতি বাতিল করা হয়। তখন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই ক্যাম্পাসের মাঠে ছবিটি দেখানো শুরু করে এবিভিপি। সেখান থেকেই গন্ডগোলের শুরু। এতে প্রশ্ন ওঠে, এবিভিপিকে অডিটোরিয়ামে সিনেমা দেখানোর অনুমতি দিল কেন প্রাক্তনী ছাত্র সংসদ? আর দিলে শেষমুহূর্তে তা তড়িঘড়ি বাতিল করা হল কেন?
সূত্রের খবর, এই প্রেক্ষাপটে, কর্তৃপক্ষ মনে করছে, যেহেতু অডিটোরিয়ামটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মধ্যে এবং তা ভাড়া দেওয়া নিয়ে কোনও গণ্ডগোল হলে কর্তৃপক্ষকে বিপাকে পড়তে হয়, তাই অডিটোরিয়ামটি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রেও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিতে হবে প্রাক্তনী সংসদকে। এনিয়ে অবশ্য এদিনও মুখ খুলতে চাননি প্রাক্তনীরা।
এ দিন সকালে রাজভবনে গিয়ে আচার্যের সঙ্গে বৈঠক করেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। প্রায় দেড়ঘণ্টা বৈঠক হয়। রাজভবন সূত্রে দাবি, আচার্য বার্তা দেন, বিশ্ববিদ্যালয় হল মুক্ত চিন্তার পরিসর। সেখানে সব ধরনের মতামত প্রকাশের সুযোগ থাকা উচিত। আচার্যের সঙ্গে বৈঠকের পর, বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের সঙ্গে বৈঠক করেন উপাচার্য।