কলকাতা: বারবার প্রেমে প্রত্যাখ্যাত।সেই থেকেই কি অবসাদ?অবসাদের জেরেই কি আত্মঘাতী? কলকাতায় ঝাড়খণ্ডের তরুণীর মৃত্যু ঘিরে ক্রমেই ঘন হচ্ছে রহস্য।
বছর পঁচিশের সুস্মিতা রায়ের দুই বন্ধু বিবেক ও গুরমিতকে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। সূত্রের খবর, তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন,আগে বিবেকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সুস্মিতার। পরে সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। এরপর ফেসবুকে গুরমিতের সঙ্গে আলাপ হয় তরুণীর। ৬ ডিসেম্বর গুরমিতের সঙ্গে ট্রেনে করে ঝাড়খণ্ড থেকে কলকাতায় ফেরেন সুস্মিতা। কলকাতায় বিভিন্ন জায়গায় দু’জনে পার্টি করেন।
কিন্তু, কয়েক দিন পরেই গুরমিতের সঙ্গেও সুস্মিতার সম্পর্ক ভেঙে যায়। তখন ফের প্রাক্তন প্রেমিক তথা সতীর্থ বিবেকের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন সুস্মিতা।কিন্তু, বিবেক আর নতুন করে এগোতে রাজি হননি।
কয়েকটি এসএমএস পাঠিয়ে জানিয়ে দেন, সুস্মিতার সঙ্গে গুরমিতের সম্পর্কের বিষয়ে তিনি জানেন। ২ জনের ছবি সুস্মিতার হোয়াটঅ্যাপেও পাঠান।সূত্রের দাবি, সুস্মিতাকে এ নিয়ে কটূক্তিও করেন বিবেক।
এ ভাবে প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়েই কি অবসাদে ভুগছিলেন সুস্মিতা? তাই কি নেশায় ডুবে যাচ্ছিলেন?
তা হলে কি অবসাদ থেকেই আত্মহত্যা করলেন ঝাড়খণ্ডের তরুণী?
না কি তাঁকে খুন করা হয়েছে?
সব দিকই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। সুস্মিতার দুই বন্ধুকে শুক্রবার জিজ্ঞাসাবাদ করে কালীঘাট থানার পুলিশ। পাশাপাশি আরও এক ব্যক্তিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, ধৃতদের দাবি, সুস্মিতা তাঁদের বলেছিলেন, এই ব্যক্তির কাছে কিছু সময়ের জন্য তিনি নিজের ফোন রেখেছিলেন। যদিও সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তি এই তত্ত্ব মানতে নারাজ।