কলকাতা: জোড়াবাগানে ৮ বছরের বালিকা খুনের ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ ওই খুনের ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে লালবাজারের হোমিসাইড শাখা। পুলিশ সূত্রে খবর, যে বাড়ি থেকে নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধার হয়, সেই বাড়ির কেয়ারটেকারের বক্তব্যে অসঙ্গতি মিলেছে। ওই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

গতকাল সকালে জোড়াবাগানে মামার বাড়ির কাছে একটি বাড়ির চারতলার সিঁড়ি থেকে উদ্ধার হয় ৮ বছরের ওই বালিকার মৃতদেহ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ অনুমান করছে, প্রথমে তাকে মারধর করা হয়, তারপর চলে শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টা। মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলায় ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হচ্ছে।

শোভাবাজার থেকে জোড়াবাগানে মামার বাড়ি বেড়াতে এসেছিল ৮ বছরের ওই বালিকা। গত পরশু রাত থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। বাধ্য হয়ে বাড়ির লোক জোড়াবাগান থানায় মিসিং ডায়রি করেন। আজ সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা এলাকার একটি বহুতলের সিঁড়িতে বালিকার মৃতদেহটি পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁরা অভিযোগ করেছেন, ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে ওই বালিকাকে খুন করা হয়েছে। পুরসভার স্থানীয় কো-অর্ডিনেটরের অভিযোগ, যৌন নির্যাতনের পর খুন করা হয়েছে ওই বালিকাকে।

ঘটনাস্থলে জোড়াবাগান থানার পুলিশ ছাড়াও আসেন লালবাজারের হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারা। আনা হয়ে পুলিশের স্নিফার ডগ। আসে কলকাতা পুলিশের সায়েন্টিফিক উইং-ও। শহরের মধ্যে এভাবে এক বালিকার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় মোতায়েন হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। স্থানীয় বিধায়ক ও মন্ত্রী শশী পাঁজা ঘটনাস্থলে গিয়ে আশ্বাস দেন, দোষীদের গ্রেফতারের জন্য সবরকম চেষ্টা করা হবে।

পুলিশ সূত্রে খবর, স্নিফার ডগ রবীন্দ্র সরণির ২টি দোকানের দিকে ইঙ্গিত করে। সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ওই বালিকা মামারবাড়িতে আসার পর যাদের সঙ্গে খেলাধুলো করে, তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে।