৬ তারিখ বিবেক অগ্নিহোত্রী পরিচালিত ‘বুদ্ধ ইন এ ট্রাফিক জ্যাম’ নামে একটি ছবির প্রদর্শনী ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় যাদবপুর ক্যাম্পাসে। প্রদর্শনের অনুমতি বাতিলের পরও ক্যাম্পাসে দেখানো হয় ছবিটি। পাল্টা আরেকটি ছবির প্রদর্শনী করেন পড়ুয়ারা। যে ঘটনাকে ঘিরে বচসা থেকে হাতাহাতিতে জড়ায় দু’পক্ষ। ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনা নিয়েই ফের যাদবপুরের পড়ুয়াদের অশালীন ভাষায় আক্রমণ শানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
তিনি বলেন, ওই মেয়ে গুলো নিম্নস্তরের ওঁচা, বেহায়া মেয়ে। ওরা গায়ে পড়ে, তারপর শ্লীলতাহানির অভিযোগ করছে।
এই কুরুচিকর আক্রমণের তীব্র নিন্দায় সরব যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
সিনেমা প্রদর্শনী ঘিরে বিশৃঙ্খলার পরই যাদবপুরকাণ্ডে আস্তিন গুটিয়ে ময়দানে নেমে পড়ে বিজেপি। ক্যাম্পাসের সামনে বিক্ষোভ থেকে থানার সামনে অবস্থান, বাদ যায়নি কিছুই। শিক্ষাঙ্গনে দাদাগিরির অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের বিজেপি রাজ্য সভাপতির রোষানলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। একজন রাজনীতিবিদের মুখে ছাত্রীদের নিয়ে এই ধরনের মন্তব্যে শালীনতার সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে বলেই মত, শিক্ষা থেকে রাজনৈতিক, সব মহলেরই।