কলকাতা: বেলঘরিয়ার তরুণ সফটঅয়ার ইঞ্জিনিয়র জুনিয়র মৃধাকে সুপারি কিলার দিয়ে খুন করানো হয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তে এমনই অনুমান সিবিআইয়ের।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে দাবি, তাদের হাতে যে তথ্য প্রমাণ রয়েছে, তার ভিত্তিতে এই অনুমান দৃঢ় হচ্ছে। ২০১১ সালের ১২ জুলাই খুন হন জুনিয়র মৃধা।
দমদম ও বেলঘরিয়ার মাঝে এক্সপ্রেসওয়ের ধার থেকে সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়রের দেহ উদ্ধার হয়। সিবিআই সূত্রে দাবি, আততায়ীর গুলি জুনিয়রের পিঠ ফুঁড়ে শরীরে ঢোকে। শরীরের ভিতরে ঢোকা গুলি প্রায় থাই পর্যন্ত চলে যায়। পরে জুনিয়রের থাইয়ের কাছ থেকে বের করা হয় বুলেট।
আঘাতের ধরন দেখে গোয়েন্দাদের সন্দেহ, জুনিয়রকে যথেষ্ট কাছ থেকে গুলি করা হয়েছিল। হত্যাকারী কীভাবে জুনিয়রের অত কাছাকাছি পৌঁছল? আততায়ীর সঙ্গে কি পূর্ব পরিচিত কেউ ছিল?
জুনিয়র খুনে ধৃত তাঁর বান্ধবী প্রিয়াঙ্কা চৌধুরীকে জেরা করে রহস্যভেদের চেষ্টা চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা। সিবিআই সূত্রে খবর, প্রিয়ঙ্কার ফোনের কলরেকর্ড খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁরা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন, ঘটনার দিন প্রিয়ঙ্কা কাদের কাদের সঙ্গে কথা বলেছিল।
সিবিআই সূত্রে খবর, খুনের দিন রাত ৯টা ২০মিনিটে জুনিয়রের সঙ্গে ফোনে কথা হয় প্রিয়াঙ্কার। ধৃতের ফোন থেকে আরও দু'জনের নাম পেয়েছেন গোয়েন্দারা। ওই দু'জনের মধ্যে একজন টালিগঞ্জের প্রযোজক। ঘটনার দিন ওই প্রযোজক প্রিয়াঙ্কার মোবাইলে একাধিকবার ফোন করেন। প্রিয়াঙ্কাও ওই প্রযোজকের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন।
জুনিয়র তাঁর বান্ধবীর সঙ্গে শেষবার কোথায় দেখা করেছিলেন? পুরো ঘটনায় দুই পরিবারের কী ভূমিকা ছিল? উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা। জুনিয়রের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে মাঝেমধ্যেই স্বামীর সঙ্গে ঝামেলা হত প্রিয়াঙ্কার। এমনটাই দাবি ধৃতের প্রাক্তন জা-র। বলেন, পরিবারের পার্টি ছিল ওই দিন, দেরি করে এসেছিল প্রিয়ঙ্কা, আপসেট ছিল। তিনি যোগ করেন, আমাকে সিবিআই চার বার জিজ্ঞেসাবাদ করেছে, যা যা জানতে চেয়েছে সব জানিয়েছি। ফিল্ম করতে চাইত প্রিয়ঙ্কা।
ঠিক কী কারণে খুন হন জুনিয়র? বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জের? না কি খুনের পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে? সিবিআই সূত্রে দাবি, এখনও তা পরিষ্কার নয়। ধৃতের মোবাইল ফোনের সূত্র ধরেই এগোচ্ছেন গোয়েন্দারা।