কলকাতা: জুনিয়র মৃধা খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য। সিবিআই সূত্রে খবর, খুনের দিন নিজের মোবাইল ফোন থেকে একাধিক এসএমএস মুছে দেন জুনিয়রের বান্ধবী প্রিয়ঙ্কা চৌধুরী।
খুনের আগে ও পরে এসএমএসগুলি করা হয়েছিল। মুছে দেওয়া এসএমএসগুলি চণ্ডীগড়ের সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরি থেকে পুনরুদ্ধার করেছে সিবিআই।
সূত্রের খবর, সেই সমস্ত এসএমএস থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রিয়ঙ্কাকে জেরা করছেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি, ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে জুনিয়রের বন্ধু এক প্রযোজককে।
এছাড়াও, সল্টলেকের বাসিন্দা প্রিয়ঙ্কার দুই পরিচিতকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। সামনের সপ্তাহে তাদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। খবর সিবিআই সূত্রে।
প্রিয়ঙ্কার আইনজীবী জানিয়েছেন, এসএমএস সংক্রান্ত তথ্য আগেই সংগ্রহ করেছিল সিবিআই।
এর আগে, শুক্রবার দুপুরে নিহতের মা শ্বেতা মৃধার সামনে বসিয়ে ধৃত প্রিয়াঙ্কা চৌধুরীকে সাড়ে চারঘণ্টা জেরা করে সিবিআই।
সিবিআই সূত্রে খবর, কিন্তু প্রিয়াঙ্কাকে কী প্রশ্ন করা হয় তা স্পষ্ট করেনি সিবিআই। সন্ধে ৭টা নাগাদ, সিবিআই অফিস থেকে বের হন জুনিয়রের বাবা-মা।
পরে, শ্বেতা মৃধা জানান, প্রিয়ঙ্কা খুনের কথা স্বীকার করেনি।
সিবিআই সূত্রে খবর, ২০১১ সালের ১২ জুলাই রাত ৯টা ২০ মিনিটে জুনিয়র ও প্রিয়াঙ্কার মধ্যে ফোনে শেষ কথা হয়। রাত ৯টা ৪০ মিনিটে জুনিয়রের মোবাইল থেকে শেষ মেসেজ যায় প্রিয়ঙ্কার ফোনে। লেখা হয়, আজ তোমার স্বামী বাড়িতে নেই। তাহলে তুমি আমার সঙ্গে দেখা করলে না কেন?
গোয়েন্দা সূত্রে দাবি, প্রিয়ঙ্কার তরফে এই হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের উত্তর দেওয়া হয়নি। এর এক ঘণ্টা পরই বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধার থেকে প্রিয়াঙ্কাকে ফোন করেন এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি।
ওই দিন রাতেই জুনিয়রের মৃতদেহ বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধার থেকেই উদ্ধার হয়। গোয়েন্দাদের দাবি, প্রিয়াঙ্কার ফোন থেকে টালিগঞ্জের এক প্রযোজকের নাম পেয়েছে সিবিআই।
খুনের দিন ওই প্রযোজকের সঙ্গে ফোনে ১৪ বার কথা হয় ধৃতের। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও প্রিয়াঙ্কার গাড়িচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ঘটনার দিন রাত ৮টা নাগাদ বাড়ি থেকে একা বেরিয়েছিলেন জুনিয়র। রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে সল্টলেকের ৯ নম্বর ট্যাঙ্কের কাছে জুনিয়রকে বাইকে চড়ে যেতে দেখা যায়। পেট্রলপাম্পের সিসি ক্যামেরা থেকে পাওয়া ওই ফুটেজে জুনিয়রের বাইকের পিছনে একজনকে বসে থাকতে দেখা গেছে।
ওই ব্যক্তিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা।