কলকাতা: শুরু ফেডারেল ফ্রন্ট তৈরির প্রক্রিয়া, চাই কিছু চমত্কার। নবান্নে মমতার সঙ্গে বৈঠকের পর মন্তব্য তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের। একটা দলের কথায় দেশ চলতে পারে না, বিজেপিকে আক্রমণ মমতার।
নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাও স্পষ্ট জানালেন, তাঁরা কংগ্রেস এবং বিজেপির বিকল্প জোট তৈরির চেষ্টা করছেন! তাঁর গলায় শোনা গেল ফেডারেল ফ্রন্ট গঠনের প্রসঙ্গ।
তবে, কেসিআর-এর পাশে দাঁড়িয়ে ফেডারেল ফ্রন্টের উপর জোর দিলেও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু খোলসা করলেন না তিনি বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ জোটের পক্ষপাতী না কি অকংগ্রেসি-অবিজেপি জোটের পক্ষে! বললেন, ফেডারেল ফ্রন্ট তৈরি হলে ভাল। আলোচনা ভাল হয়েছে। সমনোভাবাপন্ন দলগুলির সঙ্গে কথা বলতে হবে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিভিন্ন দলকে কাছে আনে। আমরা সকলের সঙ্গে মিলে কাজ করব।
রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন, তাহলে কি কংগ্রেসের নেতৃত্বে মোদী-বিরোধী জোট গঠন হলে সেই জোটে যাওয়ার রাস্তাও খোলা রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? কংগ্রেস দিল্লিতে তাদের অধিবেশনে প্রস্তাব পাস করে বলেছে, ২০১৯ সালে বিজেপি-আরএসএসকে হারাতে সম-মনোভাবাপন্ন দলগুলির সঙ্গে বাস্তবসম্মত দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে অভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। এ নিয়েও অবশ্য এদিন সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে চাননি মমতা। তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, রাহুল কি আমাদের বলার আগে জিজ্ঞাসা করছেন?
ফেডারেল ফ্রন্ট নিয়ে মমতার সঙ্গে তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর এই বৈঠককে অবশ্য কটাক্ষ করেছে বিজেপি ও সিপিএম। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ঘোলা জলে মাছ ধরছে মমতা। ওকে কেউ বিশ্বাস করে না।
কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের সঙ্গে এদিন নবান্নে এসেছিলেন কেশব রাও। ২০০৯-এ কংগ্রেস-তৃণমূল জোটের অন্যতম স্থপতি ছিলেন তিনি। সেইসময় কংগ্রেসের তরফে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বে ছিলেন তিনি, আর এখন কেশব রাও টিআরএস সাংসদ! ফের একবার মমতার সঙ্গে সেতুবন্ধনে সেই তিনিই।