কলকাতা:  শনি-রবি। ডিসেম্বরের উইকএন্ড, মানেই পায়ের তলায় সর্ষে। কনকনে শীতে রোদ গায়ে লাগিয়ে ঘোরার পালা। করোনা আবহে যাবতীয় সতর্কতা মেনেই খুলে গিয়েছে অ্যামিউজমেন্ট পার্কগুলি। অন্যান্যবারের থেকে কম হলেও, ভিড় চোখে পড়ছে নিকো-ইকো কিংবা শহরের অন্যান্য পার্কে। চিড়িয়াখানাতেই ছুটির মেজাজ জমাটি। কিন্তু শীত যেন পড়েও পড়ছে না। কলকাতার বুকে যেন পাহাড়ি কুয়াশা। এক হাত দূরের জিনিসও দেখা কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সকাল-সকাল কুয়াশার জেরে ব্যাহত পরিবহণ। আজ  শহরে সামান্য নামল পারদ। কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিক। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, ধীরে ধীরে কুয়াশার দাপট কমবে। নামবে পারদ। জেলাগুলিতে ইতিমধ্যেই তাপমাত্রা নামতে শুরু করেছে। আগামী কয়েকদিনে তা আরও নামার সম্ভাবনা।

শনিবারও সকাল থেকে একইসঙ্গে কুয়াশার দাপট। শুক্রবারের আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৯৮ শতাংশ হওয়ায় ঘন কুয়াশা উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে। এই অবস্থা চলতে পারে আগামী দু-তিনদিন, জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস। কুয়াশা ঘেরা কলকাতা। হাল্কা শীতের আমেজ সরিয়ে ভোরে রাস্তায় পা রাখলেই চারদিকের দৃশ্যপট কুয়াশায় আবছা।

আলো জ্বালালেও ৪ ফুট দূরে কী আছে ঠাহর হয় না। একই অবস্থা জেলারও। দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় বিঘ্নিত যান চলাচল। গত কয়েক দিনের মতো শুক্রবারও কুয়াশার দাপট ছিল রাজ্যজুড়ে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, কলকাতা সহ রাজ্যের প্রায় সব জেলায় ছিল ঘন কুয়াশা।  কয়েক জায়গায় দৃশ্যমানতা নেমে আসে ৫০ মিটারে। আগামী দু-একদিন কুয়াশার দাপট বজায় থাকার সম্ভাবনা।


কিন্তু কেন এত কুয়াশা? আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর,  জম্মু-কাশ্মীরে নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকছে। অন্যদিকে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত। এর প্রভাবে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে রাজ্যে। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ ৯৮ শতাংশ হওয়ায় এই কুয়াশার দাপট।


কুয়াশার সঙ্গে ছিল শীতের আমেজ। সারা সকাল ঘন কুয়াশা থাকায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের থেকে অনেকটা নীচে। এর জেরে অনুভূত হয়েছে শীত। শুক্রবার  কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল  ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। । স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি।