কলকাতা: সোমবার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার বেধেছিল।মঙ্গলবার তাঁদের কর্মসূচি ঘিরে ফের রণক্ষেত্রের চেহারা নিল ময়দান চত্বর। মিছিল আটকাল পুলিশ।পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ালেন আন্দোলনকারীরা।পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলেন আন্দোলনকারীরা।
সমকাজে সমবেতন-সহ ২০টি দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছেন পার্শ্ব শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, এমএসকে, এসএসকে শিক্ষক এবং মাদ্রাসা শিক্ষকরা। সোমবার নবান্ন অভিযানে বাধা পাওয়ার পর মঙ্গলবার
পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক ঐক্য মুক্তমঞ্চ,শিক্ষাবন্ধু যৌথমঞ্চ,পার্শ্বশিক্ষক সংগঠন,এসএসকে এমএসকে শিক্ষক সংগঠন,বৃত্তিমূলক শিক্ষক সংগঠন,কম্পিউটার শিক্ষকদের সংগঠন,মাদ্রাসা শিক্ষক সংগঠন–সহ ১৩টি সংগঠনের প্রতিনিধিরা জড়ো হয়েছিলেন শহিদ মিনারের ময়দান চত্বরে।
সেখান থেকে ডোরিনা ক্রসিংয়ের দিকে মিছিল এগোলে বাধা দেয় পুলিশ। শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি।
পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক ঐক্য মুক্তমঞ্চের সাধারণ সম্পাদক মইদুল ইসলাম বলেছেন, কালকে আমার হাতে লেগেছে। মারধর করেছিল। আজও আমরা মিছিল করতে চেয়েছিলাম বাধা দেয়। আমরা প্রতিবাদ কাল ফের মিছিল করব।


শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ভোট এলেই এরকম আন্দোলন হয়। তিনি বলেছেন, আমারা অনেক শিক্ষক নিচ্ছি। পরীক্ষা হবে। যত শিক্ষক নিচ্ছি ,তত মামলা হচ্ছে।
দাবিদাওয়া আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। পাশাপাশি মঙ্গলবার থেকে অনশনে বসেছেন তাঁরা।
ভোটের মুখে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে বিজেপি-তৃণমূল বাগযুদ্ধ চরমে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের নবান্ন অভিযান ঘিরে গতকালও ধুন্ধুমার বেধে গিয়েছিল কলকাতায়। দফায় দফায় মিছিল আটকায় পুলিশ।
গতকালও পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন আন্দোলনকারীরা।
সমকাজে সমবেতনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালাচ্ছেন পার্শ্ব শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, এমএসকে, এসএসকে শিক্ষক এবং মাদ্রাসা শিক্ষকরা। সম্প্রতি তাঁরা শিক্ষক ঐক্য মঞ্চ গড়ে আন্দোলনে নেমেছেন।তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বেতন বৈষম্যের সমস্যার কোনও সুরাহা করেনি সরকার।
রবিবারই শর্তসাপেক্ষে পার্শ্বশিক্ষকদের শহিদ মিনারের সামনে অবস্থানের অনুমতি দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন তাঁদের কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে সংহতি জানান বিশিষ্টরা।

সোমবার বেলা দেড়টা নাগাদ শুরু হয় মিছিল। ময়দান থেকে বেরোতেই আন্দোলনকারীদের আটকানোর চেষ্টা করে পুলিশ।

মিছিল এগিয়ে মেয়ো রোডে পৌঁছতেই ফের বাধা দেয় পুলিশ। বেধে যায় ধুন্ধুমার।ফোর্ট উইলিয়ামের সামনে ব্যারিকেড করে আন্দোলনকারীদের আটকে দেয় পুলিশ। বাধা পেয়ে ফোর্ট উইলিয়ামের সামনের রাস্তায় বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা।
বেশ কিছুক্ষণ অবস্থান-বিক্ষোভ চলার পর পুলিশ অফিসাররা গিয়ে আন্দোলনকারীদের বোঝান। পরিস্থিতি শান্ত হতে শহিদ মিনার ময়দানে ফিরে গিয়েছিলেন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা।

পুলিশ সূত্রের দাবি, শিক্ষক ঐক্য মঞ্চের নবান্ন অভিযানের কোনও অনুমতি ছিল না ।