কলকাতা: সিন্ডিকেট দৌরাত্ম্য নিয়ে উদ্বিগ্ন কলকাতা হাইকোর্ট। কার্যত রাজ্যকে ভর্ৎসনা। প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, এটা হিমশৈলের চূড়ামাত্র!
সম্প্রতি রাজ্যে সিন্ডিকেট দৌরাত্ম্য, অবৈধ জলাজমি ভরাট ও বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করার দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন এক ব্যক্তি। শুক্রবার সেই মামলার শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর ও বিচারপতি অরিজিত্‍ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমি যদি ১০ টাকার জিনিসও কিনি তা কোথা থেকে, কার কাছে থেকে কিনব সেটা আমার ব্যক্তিগত বিষয়।
বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পও যে সিন্ডিকেটের ফাঁসে পড়েছে, তা মনে করিয়ে দিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচারবিভাগও এই সিন্ডিকেট সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। সরকারি প্রকল্প বিঘ্নিত হচ্ছে। নির্মাণ কাজের খরচ বাড়ছে। আমার সহকর্মী বিচারপতিরাও একইভাবে এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। এটা আমি কারও কাছ থেকে শুনে বলছি না। আমি জানি, রাজ্যে এ ধরনের সমস্যা আছে। কেরল, কর্নাটকেও একই সমস্যা আছে।
সম্প্রতি রাজারহাট ও আসানসোলে জুডিসিয়াল অ্যাকাডেমিক ভবন তৈরির কাজও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে বন্ধ হয়ে যায় বলে অভিযোগ। পরে তা শুরু হয়। সেই ঘটনার দিকেই প্রধান বিচারপতির ইঙ্গিত বলে মনে করছেন অনেকেই।
পাশাপাশি, রাজ্য সরকারের প্রশংসাও করেন প্রধান বিচাপতি। মঞ্জুলা চেল্লুর বলেন, দু’একটি ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট দৌরাত্ম্য ঠেকাতে রাজ্যের ভূমিকা প্রশংসনীয়। কিন্তু এই ধরণের সক্রিয়তা অন্যান্য ক্ষেত্রেও ব্যাপকভাবে দেখাতে হবে। আমাদের কাছে যে অভিযোগ এসেছে তা হিমশৈলের চূড়া মাত্র।
সিন্ডিকেট দৌরাত্ম রুখতে কী ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার? তা জানতে চেয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমি রাজ্যের কাছে হলফনামা তলব করছি। তিন সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকার হলফনামা আকারে রিপোর্ট দিয়ে জানাক, সমস্যা সমাধানে কী কী পদক্ষেপ করেছে তারা।
পরবর্তী শুনানি ৬ সপ্তাহ পর।