বেহালার পর্ণশ্রীর বাসিন্দা শিখা মাইতির অভিযোগ, তিনি রোজভ্যালির একটি প্রকল্পে ৪৬ হাজার টাকা জমা দেন। কিন্তু, মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পরও সেই টাকা তিনি ফেরত পাননি।
গতবছর ১৯ জুলাই শিখা মাইতি আইনজীবী মারফত চিঠি পাঠিয়ে পাঁচটি কেন্দ্রীয় সংস্থা
সেবি, এসএফআইও, আরবিআই, ইডি এবং সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ জানান।
শিখা মাইতির দাবি, এরপর দীর্ঘদিন তাঁর অভিযোগ নিয়ে সেরকম কোনও নাড়াচাড়া হয়নি। গত মঙ্গলবার তাঁর আইনজীবীর কাছে লালবাজার থেকে একটি ফোন আসে।
শিখা মাইতি আরবিআই-এ যে চিঠি পাঠিয়েছিলেন তা পৌঁছয় লালবাজারে। এরপর তৎপর হয় কলকাতা পুলিশ। তার ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি ধারায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র,৪০৬ ধারায় বিশ্বাসভঙ্গ ও ৪২০ ধারায় প্রতারণার অভিযোগে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
তবে বেহালা থানায় অভিযোগ হলেও ডিসি সাউথ ওয়েস্ট মীরজ খালিদ জানিয়েছেন, এই মামলার তদন্ত করছে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ।
কিন্তু, রোজভ্যালিকাণ্ডের তদন্ত তো সিবিআই করছে, তাহলে হঠাৎ করে কি কলকাতা পুলিশ এই মামলার তদন্ত শুরু করতে পারে? এই মামলায় কি কাউকে গ্রেফতার করতে পারে তারা? কী বলছেন আইনজীবীরা? তাঁরা বলছেন, এ ব্যাপারে কোনও বাধা নেই।
রোজভ্যালিকাণ্ডে তাপস-সুদীপের গ্রেফতারির পর থেকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগে সরব তৃণমূল। খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন। ছুঁড়ে দিয়েছেন হুঁশিয়ারি। সুদীপের গ্রেফতারির দিন তিনি বলেছিলেন, আমার হাতেও সরকার আছে, আমিও গ্রেফতার করতে পারি..কিন্তু করব না।
এই মামলায় বাবুল সুপ্রিয়, সুজন চক্রবর্তীর মতো বিরোধী দলের নেতাদেরও গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছেন মমতা।
সোমবার লালবাজারের এক মুখপাত্র জানান, সিবিআইকে চিঠি দিয়ে কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, তারা মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।