কলকাতা: রেড রোডের শপথ অনুষ্ঠানে ফের তৃতীয় বিকল্পের জল্পনা। জল্পনা উস্কে অঞ্চলিক দলের নেতাদের নানা মন্তব্য। পথ খোলা রাখলেন তৃণমূলনেত্রীও। শপথে উপস্থিত থাকলেও তৃতীয় বিকল্পের জল্পনাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি অরুণ জেটলি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রীয় ফ্রন্টের কথা বলে আসছেন। কখনও কেজরীবালের আমন্ত্রণে দিল্লি গিয়েছেন, কখনও নীতীশ কুমারের শপথে পটনায়। কখনও পৌঁছে গিয়েছেন এক্কেবারে লালুর বাড়িতে। আর এহেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথগ্রহণে উপস্থিত আঞ্চলিক প্রধানরা। মুখ্যমন্ত্রীও তাঁর খুশি চেপে রাখেননি। বলেছেন, সবাই এসেছে, খুব খুশি। এটা মনে রাখব।

রেড রোডে এ দিন একফ্রেমে মমতা-নীতীশ-কেজরীবাল। পাশাপাশি লালুপ্রসাদ যাদব-ফারুক আবদুল্লা। একদিকে এমন ছবি, আরেক দিকে জল্পনা উস্কে দিয়ে নানা জনের নানা মন্তব্য। আরজেডি সভাপতি লালুপ্রসাদ যাদব বলেন, সমমনোভাবাপন্ন, ধর্মনিরেপক্ষ দলগুলি বসে বৈঠক করব। কেন্দ্র থেকে বিজেপিকে হঠানো জরুরি।

হাজির নীতীশ-কেজরীবাল-লালুপ্রসাদ-ফারুক


একধাপ এগিয়ে তৃতীয় বিকল্পের জল্পনা আরও উস্কে দিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্যাট্রন ফারুক আবদুল্লা। তিনি জানিয়ে দেন, তৃতীয় ফ্রন্টের সম্ভাবনা যথেষ্ট পরিমাণে খোলা। একানেই থামেননি জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। ফ্রন্টের নেতা হিসেবে অন্যদের সঙ্গে মমতাও সমান দাবিদার বলে অভিহিত করেন তিনি। আবদুল্লা বলেন, ফ্রন্টের নেতা অনেকেই হতে পারেন, এমনকী মমতাও হতে পারেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য এখনই হাতের তাস বের করতে রাজি নন।  ডবল সেঞ্চুরি করে মুখ্যমন্ত্রীত্বের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা মমতা জানিয়ে দেন, ফারুকজি, লালুজি হোক না। আমি খুশি হব। তবে, শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেও, তৃতীয় বিকল্পের জল্পনাকে কিন্তু কটাক্ষ করতে ছাড়েননি অরুণ জেটলি। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর মতে, ফেডেরাল ফ্রন্ট হল একটা ব্যর্থ প্রয়াস ও চিন্তাভাবনা।
মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি বর্তমানে প্রবল শক্তিমান, অন্যদিকে প্রধান বিরোধী কংগ্রেস ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে। এই পরিস্থিতিকে কি সত্যিই কোনও তৃতীয় বিকল্প গঠন সম্ভব? অকংগ্রেসি-অবিজেপি জোট কি আদৌ সাফল্যের মুখ দেখতে পারে? তারই কি সলতে পাকানো শুরু হল রেড রোড থেকে? উত্তর ভবিষ্যতের গর্ভে।