কলকাতা: বাগুইআটির বাড়ি থেকে।শেষযাত্রায় উপস্থিত লক্ষ্মীরতন শুক্ল, পূর্ণেন্দু বসু, তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন ও বেশ কয়েকজন প্রাক্তন ফুটবলার। অমল দত্তর দেহ প্রথমে গণেশ টকিজের পুরনো বাড়িতে আনা হবে। এরপর নিয়ে যাওয়া হবে রবীন্দ্র সদনে। সেখানে সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টো পর্যন্ত দেহ রাখা হবে। উত্তরবঙ্গ সফরে রওনা হওয়ার আগে বেলা সাড়ে ১১টায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অমল দত্তকে শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন। দুপুর ২টোর পরে মোহনবাগান তাঁবুতে আনা হবে প্রাক্তন ফুটবল কোচের দেহ। পরে নিমতলা ঘাটে শ্মশানে শেষকৃত্য।

রবিবার রাতে জীবনাবসান হয় অমল দত্তর। বেশ কিছুদিন ধরেই বার্ধক্য জনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি।

পাঁচের দশকে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলার পর ছয়ের দশকে প্রথম বার দুই প্রধানের কোচিং-এর দায়িত্ব হাতে তুলে নেন। ইংল্যান্ডে কোচিংয়ের পাঠ নেওয়া অমল দত্ত আধুনিক ফুটবলের সঙ্গে পরিচয় করিয়েছিলেন কলকাতা ময়দানের। ভারতীয় ক্লাব ফুটবলে কোচ হিসাবে তাঁর ব্যাপ্তি প্রায় ৩৫ বছরের।নয়ের দশকের প্রায় শেষ দিকে ময়দানে ঝড় তোলে অমল দত্তর ডায়মন্ড সিস্টেম। এই ডায়মন্ড থিওরি বড় ম্যাচে মাঠে টেনে এনেছিল ১ লক্ষ ৩০ হাজার দর্শককে। অমল দত্ত ও পিকে বন্দোপাধ্যায়ের দ্বৈরথ যেন আধুনিক ফুটবলের ফার্গুসন, মোরিনহোর লড়াইয়ের মতো। ভারতীয় ফুটবলের মরা গাঙেও নিয়ে এসেছিল জোয়ার।