কলকাতা: দোরগোড়ায় মাধ্যমিক পরীক্ষা। তাই রাত জেগে পড়াশোনা করত বছর ১৫-র কিশোরী। রবিবার রাতে শেষবার বই হাতে তাকে দেখেছিলেন দিদিমা। আর সোমবার সকালে, ঘর থেকেই উদ্ধার নাতনির রক্তাক্ত দেহ!! উঠল ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ। ঘটনা ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য সোনারপুর থানার লেনিননগরে।
নিহত কিশোরীর দিদিমার দাবি, কাকভোরে ঘুম থেকে উঠে নাতনির ঘরে আলো জ্বলতে দেখেন তিনি। কিন্তু, বারবার ডেকেও, নাতনির সাড়াশব্দ পাননি। সন্দেহ হতে ঘরের দেওয়ালের একটি ভাঙা অংশ দিয়ে ভেতরে ঢুকে নাতনির রক্তাক্ত দেহ মেঝে পড়ে থাকতে দেখেন দিদিমা।
কিশোরীকে খুনের নেপথ্যে উঠে আসছে সম্পর্কের টানাপোড়েনের অভিযোগ। মৃত ছাত্রীর দিদিমা বলেন, ফোনে একটি ছেলের সঙ্গে (নিহতের) কথা হত, নাম জানিনা। আমরা বকাবকি করেছিলাম কিছুদিন আগে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, রাতেই আততায়ীরা ধারাল অস্ত্র নিয়ে ছাত্রীর ওপর হামলা চালায়। সবদিক খতিয়ে দেখছে সোনারপুর থানার পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, কিশোরীর বইয়ের ব্যাগ থেকে এক যুবকের ছবি পাওয়া গেছে। তার সঙ্গে মৃত ছাত্রীর কী সম্পর্ক, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে মৃতের মোবাইল ফোনের কললিস্ট।
ইতিমধ্যেই তাপস দাস নামে এক সন্দেহভাজন-সহ ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বেলায় সোনারপুর থানায় বিক্ষোভ দেখান সিপিএমের মহিলা সংগঠন। দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির দাবি জানানো হয়।