কলকাতা: ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে আগাগোড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিশানায় বিজেপি। যাকে আবার ইতিবাচক হিসাবে দেখছে গেরুয়া শিবির। তবে, বিজেপিকে লাগাতার আক্রমণ শানালেও, চিরশত্রু সিপিএমকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি তৃণমূল নেত্রী। এমনকী, নাম না করে রাষ্ট্রপতি ভোটে ক্রস ভোটিং প্রসঙ্গে বাম-বিজেপিকে একযোগে খোঁচা দিয়েছেন তিনি। সারদা কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গে বলতে গিয়েও তৃণমূলনেত্রীর মুখে উঠে এসেছে সিপিএমের নাম। নারদের স্টিং অপারেশন প্রসঙ্গে বলতে গিয়েও বিজেপির সঙ্গে মমতার নিশানায় সিপিএম।


পাল্টা সারদা-নারদ নিয়ে বিজেপি-তৃণমূলকে একযোগে আক্রমণ করেছে সিপিএম। রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেছেন, সারদা, নারদ নিয়ে কয়েকদিন ডেকে পাঠায়, তারপর গ্রেফতার করে। পরে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে যায়। আজ সারদা-নারদের লোকজন ওদের মঞ্চে শোভা পাচ্ছিল।

নারদ স্টিং নিয়ে তৃণমূল নেত্রীর দাবির পাল্টা কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন সূর্যকান্ত। পাল্টা সিপিএম সম্পর্কে ব্যঙ্গের সুরও শোনা গিয়েছে তৃণমূল নেত্রীর গলায়। তবে, সিপিএমকে আক্রমণের রাস্তায় হাঁটলেও কংগ্রেস সম্পর্কে এদিন কোনও আক্রমণাত্মক কথা শোনা যায়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। উল্টে শোনা গিয়েছে পাশে থাকার বার্তা। তবে, তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে আবার যথারীতি প্রদেশ কংগ্রেস এবং দিল্লির কংগ্রেসের দুই সুর উঠে এসেছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছেন, কী করেছে জানি না। শহিদদের নামে কোটি কোটি টাকা খরচ, কোথা থেকে এল? অন্যদিকে, কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র সুস্মিতা দেব বলেছেন, স্বাগত জানাচ্ছি। এবার রাষ্ট্রপতি ভোটে একসঙ্গে এসেছি। আমরা এক হচ্ছি।

সিপিএম-বিরোধী আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্থান। তাই সিপিএমকে আক্রমণ তাঁর রাজনৈতিক বাধ্যবাধ্যকতা। আবার উল্টোদিকে, জাতীয় স্তরে মোদি বিরোধী জোটের ক্ষেত্রে কংগ্রেসকে পাশে পাওয়াটাও তাঁর একান্ত প্রয়োজন। তাই ২১-এর সভা থেকে তৃণমূল নেত্রী এই কৌশল নিলেন বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের।