কলকাতা: মহামারী করোনার মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ৫ লক্ষ টাকা দিলেন পশ্চিমববঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু প্রধানমন্ত্রীর তহবিলই নয়, রাজ্য সরকার যে আপতকালীন তহবিল তৈরি করেছে সেখানেও ৫ লক্ষ টাকা দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার ট্যুইট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, “বিধায়ক এবং মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আমি এক টাকাও নিই না। এমনকি ৭ বারের সাংসদ থাকাকালীনও এক পয়সা বেতন নিইনি। বই লিখে এবং গানের কথা ও সুর রচনা করেই মূলত আমার রোজগার। সেখান থেকেই রয়্যালটি পাই। সামর্থ্য অনুযায়ী আমি প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ৫ লক্ষ টাকা দিয়েছি। কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে দেশের লড়াইয়ের পাশে দাঁড়িয়ে আরও ৫ লক্ষ টাকা দিয়েছি রাজ্যের আপতকালীন তহবিলে।”
দীর্ঘ ট্যুইটে তিনি আরও লিখেছেন, “এই সময়ে যারা সমাজের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং নিঃস্বার্থভাবে নিজের কাজ করে যাচ্ছেন তাঁদের ধন্যবাদ জ্ঞাপনের জন্য কোনও শব্দই যথেষ্ট নয়। সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং একই সঙ্গে তাঁদের অবদান আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করছে।”
প্রসঙ্গত, আজই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে ২৫ হাজার কোটি টাকা অনুদান চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে দ্রুততার সঙ্গে রাজ্যের পাওনা টাকা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য আর্জি জানিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রের থেকে এখনও রাজ্যের পাওনা ৩৬ হাজার কোটি টাকা। নানাবিধ সামাজিক সুরক্ষা খাতে ব্যয়ে যে টাকা রাজ্যের সরকার কেন্দ্র থেকে পায় সেই বকেয়ার সিংহভাগ মিটিয়ে দেওয়ার জন্যই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, করোনার প্রকোপে ইতিমধ্যেই গোটা দেশে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মহারাষ্ট্র এবং কেরলে সবথেকে বেশি মানুষ আক্রান্ত। রাজ্যেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। গোটা দেশে যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১৮০০ ছুঁইছুঁই, সেখানে এই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭। মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। আক্রান্তের মধ্যে অনেকে সুস্থ হয়ে বাড়িও চলে গিয়েছেন।
করোনা মোকাবিলায় রাজ্যে ২০০ কোটি টাকার একটি ত্রাণ তহবিল গড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই তহবিলে এবার নিজেই অনুদান দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।