কলকাতা: বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধিকারে হস্তক্ষেপে কার্যত সিলমোহর সরকারের।
তৃণমূল জমানার প্রথম ইনিংসে শিক্ষায় সরকারি হস্তক্ষেপের অভিযোগ ছিল আখছার। দ্বিতীয় ইনিংসে শিক্ষামন্ত্রী বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বুঝিয়ে দিলেন, হস্তক্ষেপ চলবে।
প্রশ্নোত্তর পর্বে, বুধবার শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সরকার অর্থ দেয়। জনগণের অর্থ। সেই অর্থ ঠিকমতো খরচ না হলে, তা ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষার স্বার্থে যদি ব্যয় না হয়, সরকার নিশ্চয় হস্তক্ষেপ করবে।
কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইয়ার প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আর্থিক ও প্রশাসনিক ব্যাপারে গাফিলতি থাকলে হস্তক্ষেপ করবে সরকার। শিক্ষায় স্বাধিকারে হস্তক্ষেপের অভিযোগ, তৃণমূল জমানায় নতুন নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক ঘটনায় সরকার হস্তক্ষেপ করেছে, এমন অভিযোগ শিক্ষামহলের।
বিতর্কের মুখে এক সময় পার্থ চট্টোপাধ্যায় তো বলেই ফেলেছিলেন, একশোবার স্বাধিকারে হাত দেব, মাইনেটা তো আমিই দিই। বিধানসভায় এদিন শিক্ষামন্ত্রী এ প্রসঙ্গে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক অনিয়মের প্রসঙ্গও তুলেছেন। যা দেখে, শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারের নিয়ন্ত্রণেরই কৌশল বলে মনে করছে বিরোধীরা।
কংগ্রেস বিধায়ক  মানস ভুঁইয়া বলেন, নিয়ন্ত্রণের কথা বলেই ফেললেন,, তখন তো অনিলায়ন হত, এখন কী আয়ন হবে গবেষণা করে ঠিক করতে হবে।
সরকার টাকা দেয়, অতএব হস্তক্ষেপ। এই তত্ত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। শিক্ষামহলের একাংশের মতে, স্বশাসিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় নিজের বিধি মেনে চলবে, এটাই অভিপ্রেত।
বিদেশেও তো বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি সরকার সহ অনেকের অনুদানে চলে। সেখানে কি হস্তক্ষেপ হয়? প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ। কারও প্রশ্ন, বিচারপতিদেরও তো বেতন দেয় সরকার, তা বলে কি আদালতের রায়ের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবে সরকার?
শিক্ষামন্ত্রী এদিন অবশ্য জানিয়েছেন, অ্যাকাডেমিক নয়, প্রশাসনিক ও আর্থিক বিষয়েই বেনিয়ম হলে হস্তক্ষেপ করবে সরকার।