কলকাতা: নোট-ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব প্রতাপ রুডি।
শুক্রবার নৌসেনার একটি জাহাজ উদ্বোধন করতে কলকাতার গার্ডেন রিচ শিপবিল্ডার্সে (জিআরএসই) এসেছিলেন রুডি। সেখানে নোট-বাতিল এবং সংসদ অচল বিতর্কে তৃণমূলকে সরাসরি আক্রমণ করেন তিনি।
নোট বাতিলের হয়ে এদিন জোরাল সওয়াল করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। জানিয়ে দেন, ডিমোনেটাইজেশন হল কেন্দ্রের একটা নীতি। এখান থেকে পিছিয়ে আসার কোনও প্রশ্নই নেই। আমরা এই নিয়ে সংসদের ভিতরে বা বাইরে যে কোনও আলোচনায় রাজি। তিনি বলেন, লোকসভা নির্বাচনের সময়ই মোদী জানিয়েছিলেন, কালো টাকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে রুডি সাফ জানান, একটা সময় সাধারণ মানুষ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। কিন্তু, এখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁরা রয়েছেন। বলেন, সাধারণ লোকের জন্য লড়াই চালানোর দাবি করে আসা দিল্লি বা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীরা বুঝে গিয়েছেন, মানুষ আর তাঁদের চান না।
তিনি যোগ করেন, দিল্লিতে বা এই রাজ্যে এমন অনেক বড় রাজনৈতিক নেতা রয়েছেন, যাঁদের কাছ থেকে সাধারণ মানুষ দূরে সরে যাচ্ছে। এর জেরেই একটি অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে তাঁদের মনে।
সংসদ অচল হওয়ার জন্যও সরাসরি তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপালেন কেন্দ্রীয় দক্ষতা বিকাশ এবং উদ্যোগ মন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর মতে, সংসদে যা ঘটছে তার দায় তৃণমূলকে নিতে হবে।
রুডি বলেন, তৃণমূল ও তার ‘পার্টনার’ কংগ্রেস একযোগে সংসদে হাঙ্গামা করছে। তৃণমূলের সৌজন্যে এখন তারা একযোগে এটা নিশ্চিত করছেন, যে সংসদ যাতে অচল থাকে।
মোদীর ‘ব্যক্তিগত দুর্নীতি’ নিয়ে কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধীর মন্তব্যকেও কটাক্ষ করেন রুডি। বলেন, সকলেই জানে গত ৬০ বছরে কারা দুর্নীতি করে আসেছে। টু-জি হোক বা কয়লা অথবা অগুস্তা—তালিকা অনন্ত। ফলে, এসব নিয়ে কথা বলে লাভ নেই।
শুধু তাই নয়। সংসদে বিরোধী দলকে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না বলে যে অভিযোগ তুলেছেন রাহুল, তাকেও খণ্ডন করেন রুডি। বলেন, ওনার জন্য সংসদের একটি আসন বরাদ্দ রয়েছে। ওনার কাছে একটা মাইক্রোফোনও আছে। উনি সেখানে না বলে, সংসদের বাইরে কথা বলাটা পছন্দ করেন। তাঁর কটাক্ষ, সকলেই অপেক্ষা করছেন, রাহুল কবে সংসদের ভিতরে বলবেন।