কলকাতা: নারদ স্টিংকাণ্ডের তদন্তের নির্দেশ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তদন্তের দায়িত্বে কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। তদন্তের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিয়ে বলা হয়েছে পুলিশকে, নবান্নে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ভোটের আগে চক্রান্ত করে বাংলাকে অপমান করা হয়েছে। তাই এই তদন্তের নির্দেশ। সরকার চায় সত্য উদঘাটিত হোক, দোষীরা শাস্তি পাক।
নারদ নিউজের প্রথম স্টিং সামনে আসার তিন মাসেরও বেশি সময় পর, এনিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিল তৃণমূল সরকার। শুক্রবার নবান্নে একথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, এর পিছনে কোনও চক্রান্ত রয়েছে।
নারদ নিউজের সিইও অবশ্য এই তদন্তের নির্দেশ প্রসঙ্গে কিছুই বলতে চাননি। তবে চক্রান্তের অভিযোগকে তিনি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
নারদ নিউজের স্টিংয়ে দেখা গিয়েছে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। তিনিও তদন্তের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। নারদ নিউজের স্টিং নিয়ে এই তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে।
বিরোধীরা অবশ্য এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলতে ছাড়ছে না। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র ট্যুইট করেছেন, স্টিং কাণ্ডে অভিযুক্তই তদন্তের ঘোষণা করছেন। তাও আবার তাঁর অনুগত পুলিশকে দিয়ে। এটা প্রহসনের চরম দৃষ্টান্ত।
সরকারের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, এই ফুটেজে যাদের টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, এবং যাদের টাকা দিতে দেখা গিয়েছে, তাদের সকলেরই ভূমিকা খতিয়ে দেখা হবে।
বিরোধীদের অবশ্য দাবি, এই তদন্ত আদতে আসল ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা। ১৪ মার্চ নারজ নিউজের প্রথম স্টিং ফুটেজ প্রকাশ্যে এসে। যেখানে দেখা যায় তৃণমূলের একঝাঁক নেতা-মন্ত্রী-সাংসদকে। এরপর দফায় দফায় আরও কয়েকটি স্টিং ফুটেজ প্রকাশ করে নারদ নিউজ। এনিয়ে বাজেট অধিবেশনে উত্তাল হয় সংসদ। শেষমেশ বিষয়টিকে তদন্তের জন্য এথিক্স কমিটির কাছে পাঠান লোকসভার স্পিকার। স্টিং কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টেও জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে।