কলকাতা:  কড়েয়ায় প্রোমোটারকে গুলি করে খুন। ঘটনা ঘিরে রণক্ষেত্র এলাকা। অভিযুক্তর অফিস ও গ্যারাজে ভাঙচুর। মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশনের সূত্র ধরে গ্রেফতার অভিযুক্ত।
নিহত ফজরুল রহমান ওরফে আতিক কড়েয়ার ব্রাইট স্ট্রিটের বাসিন্দা। পেশায় প্রোমোটার। মঙ্গলবার সকালে ছেলেকে স্কুলে দিতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সেইসময়ই একটি নির্মাণ কাজ নিয়ে বন্ধু তথা ব্যবসার পার্টনার শেখ ইদ্রিস ওরফে ভোলার সঙ্গে তাঁর বচসা শুরু হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বিতণ্ডা চলাকালীনই আচমকা কোমরে গোঁজা ওয়ান শটার বের করেন ইদ্রিশ! কিছু বুঝে ওঠার আগে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে ফজরুলকে গুলি করেন ইদ্রিশ! লুটিয়ে পড়েন প্রোমোটার!

গুলির আওয়াজ শুনে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা দেখেন, বাড়ির সামনে পড়ে ছটফট করছেন ফজরুল! তাজা রক্তে ভেসে যাচ্ছে রাস্তা!  এলাকার মানুষই গুলিবিদ্ধ প্রোমোটারকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। নিহতের বোনের দাবি, প্রোমোটিং নিয়ে গণ্ডগোলের জেরেই এই হত্যা।
মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ব্রাইট স্ট্রিট এলাকা! অভিযুক্তর গ্যারাজের সামনে জড়ো হয় কয়েকশো মানুষ! হাতুড়ি, গাঁইতি নিয়ে শুরু হয় তাণ্ডব! মুহূর্তের মধ্যে ধূলিস্যাত হয়ে যায় রাস্তার ওপর গজিয়ে ওঠা এই বেআইনি নির্মাণ! রোষ আছড়ে পড়েও অভিযুক্তর অফিসের মধ্যেও!

ভিতর থেকে জমি সংক্রান্ত কাগজপত্র বাইরে এনে তাতে আগুন জ্বালিয়ে দেন ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। এসব যখন চলছে, তখন ঘটনাস্থলে হাজির পুলিশ! অভিযুক্ত ইদ্রিশের তালাবন্ধ বাড়িতে ঢুকতে গেলে উন্মত্ত জনতাকে বাধা দেয় তারা। প্রকাশ্যে গুলি করে খুনের ঘটনায় আতঙ্কে এলাকার মানুষ। যদিও এই প্রশ্নে কড়া অবস্থান নিয়েছে প্রশাসন।
পুলিশ সূত্রে খবর, ফজরুল রহমান ও শেখ ইদ্রিস বন্ধু ছিলেন। দু’জনের নামেই একটা সময় একাধিক অপরাধমূলক কাজকর্মের অভিযোগ ওঠে। প্রোমোটিং নিয়ে একটা সময় শুরু হয় ঠান্ডা লড়াই! যার শেষটা হল একজনের জীবনের বিনিময়ে!