কলকাতা: পিএসি-পদ বিতর্ক মেটাতে, বুধবার অধীর চৌধুরী, মানস ভুঁইয়া এবং আব্দুল মান্নানকে নিয়ে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের। এই বৈঠকের আগে কলকাতা হাইকোর্টে ধাক্কা খেলেন মানস ভুঁইয়া! তাঁর আগাম জামিনের আর্জির কড়া বিরোধিতা করলেন সরকারি আইনজীবী। ডিভিশনব বেঞ্চে খারিজ হয়ে গেল, মানসের আবেদন।
সোমবার শুনানিতে মানসের আইনজীবী বলেন, ৪ মাস পরেও কোনও তদন্ত হচ্ছে না। মানস ভুঁইয়া এবং তাঁর ভাইয়ের সরকারি নিরাপত্তারক্ষীদের বয়ান নথিভূক্ত করা হয়নি। মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশনের তথ্যও পুলিশ নেয়নি। এতেই প্রমাণিত হচ্ছে, এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা। তাই আগাম জামিন দেওয়া হোক।
এই আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করেন সরকারি আইনজীবী মনজিত সিংহ। সওয়াল করতে গিয়ে তিনি বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হচ্ছে। এই তদন্তে পুলিশ যথাযথ ভূমিকা পালন করেছে। কেস ডায়েরি দেখলেই, আদালত সব বুঝতে পারবে।
এরপর কেস ডায়েরি খতিয়ে দেখে বিচারপতি নাদিরা পাথেরিয়া এবং বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। তাঁরা জানান, মামলার গুরুত্ব ও কেস ডায়েরিতে থাকা তথ্যপ্রমাণ বিচার করে, আমরা মনে করছি, আগাম জামিনের আর্জি মঞ্জুর করা সম্ভব নয়।
সম্প্রতি মানস ভুঁইয়া অভিযোগ করেছিলেন,, এই খুনের মামলায় দল তাঁর পাশে দাঁড়ায়নি। যদিও, আদালতের নির্দেশের পরও, সর্বোতভাবে দলীয় বিধায়কের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। অধীর চৌধুরী বলেছেন, আইনি লড়াইয়ে সাহায্য করব। প্রয়োজনে রাস্তাতেও নামব।
ভোটপর্ব চলাকালীন, গত ৮ এপ্রিল সবংয়ে খুন হন দুবরাজপুরের তৃণমূল বুথ সভাপতি জয়দেব জানা। মানস ভুঁইয়া, তাঁর ভাই বিকাশ ভুঁইয়া-সহ ২২ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মানস ভুঁইয়া-সহ ৯জন। সম্প্রতি মানসের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে নিম্ন আদালত। এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন মানস। এরপরে তাঁকে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সেই পদ গ্রহণ করে, দলের প্রদেশ নেতৃত্বের সঙ্গে সংঘাতের পথে হেঁটেছেন মানস ভুঁইয়া।