কলকাতা: বিবাহিত মেয়েও পাবেন বাবার চাকরির অধিকার। ঐতিহাসিক রায় কলকাতা হাইকোর্টের। কর্মরত অবস্থায় বাবার মৃত্যুর পর চাকরি দাবি করে মামলা করেছিলেন বিবাহিত মেয়ে। সেই মামলার প্রেক্ষিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রে, বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর বিশেষ বেঞ্চ বুধবার রায় দিয়েছে, কর্মরত অবস্থায় বাবা-মায়ের মৃত্যু হলে চাকরি পাবেন বিবাহিত মেয়েরাও। শ্রম দফতর ও পঞ্চায়েত দফতরের এই সংক্রান্ত যে নির্দেশিকা আছে সেখান থেকে বিবাহিত বা অবিবাহিত শব্দবন্ধ বাদ দিতে হবে। উল্লেখ করতে হবে শুধুমাত্র ছেলে বা মেয়ে বলে। মামলা করেছিলেন বীরভূমের নলহাটির বাসিন্দা পূর্ণিমা দাস। তাঁর বাবা গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রুপ ডি কর্মী ছিলেন। কর্মরত অবস্থায় বাবার মৃত্যু হলে চাকরি দাবি করেন মেয়ে। কিন্তু তা খারিজ করে দেয় পঞ্চায়েত দফতর। কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন পূর্ণিমা। আদালত চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করে পঞ্চায়েত দফতর। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর তিন বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ তৈরি করে দেন। সেই বিশেষ বেঞ্চই রায় দিল এদিন। সাম্প্রতিককালে, বিবাহিত মেয়েদের অধিকার নিয়ে আরেকটি যুগান্তকারী রায় দিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত। মুসলিম মহিলাদের তাৎক্ষণিক তিন তালাক নিষিদ্ধ করার রায় দেয় সুপ্রিম কোর্টের ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। সেই রায়ের ফলে, যুগ যুগ ধরে চলে আসা তাৎক্ষণিক তিন তালাকের অপব্যবহার ও নিপীড়ন থেকে মুক্ত হন মুসলিম বিবাহিত মহিলারা। এবার কলকাতা হাইকোর্টের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ রায়।