শীতের সন্ধেয় আগুনের গ্রাসে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল বাগবাজারের হাজারহাট ঝুপড়ি!তার মধ্যেই পরপর সিলিন্ডার বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল চারপাশ। আগুন ছড়িয়ে পড়ল বাগবাজার মায়ের বাড়ির একাংশেও।
বুধবার সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ, হঠাৎ আগুন লাগে বাগবাজারের ওই ঝুপড়িতে। দমকল পৌঁছনোর আগেই ফাটতে শুরু করে একের পর এক রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার। প্রথমে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। কিন্তু আগুনের ভয়াবহতা এতটাই ছিল যে, তা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব ছিল না ওই কয়েকটি দমকলের ইঞ্জিনের পক্ষে। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আরও ২০টি ইঞ্জিন। অনেক দূর পর্যন্ত জল ছেটানোর জন্য আনা হয় হাইস্পিড জেট ইঞ্জিন।
ঝুপড়ির ঠিক পাশেই বাগবাজারের মায়ের বাড়ির উদ্বোধনী কার্যালয়। আগুন ছড়িয়ে পড়ে এই বাড়িতেও। তিন তলা পর্যন্ত একাংশ পুড়ে যায়।
দমকলের সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, একেই ঘিঞ্জি এলাকা, তার উপর রাস্তায় মানুষের ভিড়ে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে তাঁদের। যদিও স্থানীয় বাসিন্দারা আবার দমকলের বিরুদ্ধে দেরিতে পৌঁছনোর অভিযোগ তুলেছেন।
দমকল দেরিতে পৌঁছনোর অভিযোগে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলের গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় পুলিশকেও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় র্যাফ ও বিশেষ বাহিনী।
গত দু-দিনে কলকাতায় ৫ ডিগ্রি নেমেছে পারদ। সেই শীতের মধ্যেই এখন ঘরছাড়া বাগবাজার হাজারহাট ঝুপড়ির প্রায় ৫০টি পরিবার।
কিছুদিন আগেই ইএম বাইপাসের কাছে ঝুপড়িতে বিধ্বংসী আগুন ধরে গিয়েছিল। পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল ৪০টিরও বেশি ঝুপড়ি। সব হারিয়ে বাসিন্দাদের কনকনে ঠান্ডায় আশ্রয় নিতে হয়েছিল খোলা আকাশের নীচে।