কলকাতা: বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে প্রথমবার অকপট মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। বৈশাখীকে তিনি উল্লেখ করলেন বিপদের বন্ধু হিসেবে। বললেন, বৈশাখী বিপদের বন্ধু। ও ওর পরিবার, যদি বিপর্যয়ের সময় আমার পাশে না দাঁড়াত, তাহলে আজ আমি যে জায়গায় তাহলে তার অবলুপ্তি ঘটত। কিছু হলে, বলব আগে আমাকে আঘাত করুন।
অন্যদিকে, স্বামীর মুখে বৈশাখীর নাম উঠে আসায় ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন মেয়র-পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়। বললেন, বৈশাখী শোভনের কী উপকারে লেগেছে, জানি না। ও আমার কখনও কোনওদিন উপকারে আসেনি। ২০১৬-র ডিসেম্বর থেকে উদয়।
মেয়র অবশ্য বৈশাখী প্রশ্নে নিজের বক্তব্যে অনড়। উল্টে রত্নার বক্তব্যের ভিত্তি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বলেছেন, বিপদের দিনে পাশে দাঁড়ানো বন্ধুকে অস্বীকার করতে আমি দেখিনি। বৈশাখী বাড়িতে নিয়মিত আসত। রত্না ওর সঙ্গে ফোনে দীর্ঘক্ষণ কথা বলত। রান্না করে খাওয়াত। বৈরিতা থাকতে পারে, কিন্তু বাস্তবকে অস্বীকার করছে কেন? বৈশাখী আমার বিপদের বন্ধু। পাশে দাঁড়ানোর জন্য নিশ্চয় আমার ওপর বর্তায়। আমি প্রস্তুত।

বৈশাখী-পর্বে তিনি যে বেজায় ক্ষুব্ধ এর আগেই তা স্পষ্ট করে দেন মেয়র পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়। বলেন, আমি কখনও চাইনি বৈশাখী আমাদের পারিবারিক বন্ধু হোক। কিছুদিন আগে শুনলাম আমি নাকি বৈশাখীর কাছে দৌড়ে গিয়েছি। ভগবান করুন, এমন দিন না আসে যেদিন বৈশাখীর কাছে আমাকে যেতে হয়। বৈশাখীর সাহায্য নেওয়ার আগে আমার যেন মৃত্যু হয়।
কিছুদিন আগে থেকে বেহালার বাড়ি ছেড়ে সম্প্রতি গোলপার্কের একটি আবাসনে থাকছেন মেয়র। নিরাপত্তার অভাব বোধ করে সম্প্রতি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। বলেছেন, আমি এখন যেখানে থাকি, সেখানে শান্তিতে আছি। সেই শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা হতে পারে। তাই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি।
এ নিয়েও স্বামী শোভনকে বিঁধেছেন রত্না। বলেছেন, ওর মধ্যে ফিয়ার সাইকোসিস কাজ করছে। নাহলে কেন এসব ভাবছেন? কেন ভাবছেন গুণ্ডা দিয়ে বের করে দেবেন। আমি সেরকম মেয়ে নই। উনি নিজেই নিজের শান্তি বিঘ্নিত করছেন। দুষ্কৃতী কেন, আমি নিজেও ওকে বের করতে যাব না।

দাম্পত্যের বয়স কুড়ি বছরেরও বেশি। রত্না-শোভনের দুই সন্তান রয়েছে। এরকম অবস্থায় দু’জনের বিবাহ বিচ্ছেদের মামলাও চলছে।