কলকাতা: এসএসকেএম হাসপাতালে ফের কর্মবিরতি। কাজ শিকেয় তুলে আন্দোলনে ইন্টার্ন ও জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। অধিকর্তার ঘরের সামনে বিক্ষোভ। দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও হয়ে রইলেন সুপার ও অধিকর্তা। চূড়ান্ত হয়রানির শিকার রোগী ও তাঁদের পরিজনরা। ঘটনার সূত্রপাৎ বুধবার রাত ৯টা নাগাদ। গুরুতর জখম অবস্থায় এসএসকেএমে নিয়ে আসা হয় উত্তর ২৪ পরগনার শাসনের বাসিন্দা, বছর ছয়েকের মোস্তাফিজুর রহমানকে। পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসা না করে দীর্ঘক্ষণ জরুরি বিভাগে ফেলে রাখা হয় তাকে৷ প্রতিবাদ করায় জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বচসা বেধে যায় শিশুর পরিবারের। অভিযোগ, বচসা চলাকালীন এক জুনিয়র ডাক্তার এবং এক ইন্টার্নকে মারধর করেন শিশুর পরিজনরা। এরপরই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে হাসপাতাল। রাতে পুলিশ এবং এসএসকেএমের সুপার হাসপাতালে পৌঁছলে, তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় ইন্টার্ন ও জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। তাঁদের আরও অভিযোগ, বিক্ষোভ হঠাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এরপরই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নিরাপত্তার দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করে ইন্টার্ন ও জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। কর্মবিরতির জেরে থমকে যায় হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা। হয়রান হতে হয় রোগী এবং তাঁদের আত্মীয়দের। ঘটনায় ক্ষুব্ধ রাজ্য সরকার। এবিষয়ে স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, কাজ না করা অপরাধ। এসএসকেএমের অধিকর্তাকে বলেছি, যাঁরা কাজে যোগ দিচ্ছেন না, তাঁদের তালিকা তৈরি করতে। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আন্দোলনকারীরা। নিরাপত্তার আশ্বাস মেলার পর ঘেরাও মুক্ত করা হয় সুপার ও অধিকর্তাকে। কিন্তু, কেন যখন-তখন হাসপাতালে কর্মবিরতি? যাঁদের হাতে মানুষের জীবণ-মরণ নির্ভর করছে, তাঁরা কীভাবে পরিষেবা শিকেয় তুলে এভাবে আন্দোলনে নামেন? দাবি-দাওয়া আদায়ের বিকল্প পথ কি ছিল না? কেন এই ধরণের দায়িত্ব জ্ঞানহীন আচরণ? প্রশ্ন ভুক্তভোগীদের।