কলকাতা: কলকাতায় ফের #MeToo। স্বনামধন্য় প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ। মেসেঞ্জারের স্ক্রিনশট ফেসবুকে পোস্ট হতেই সর্বত্র ছিঃ ছিঃ রব।


প্রেসিডেন্সি সহ একাধিক কলেজের ছাত্রীদের কুরুচিকর প্রস্তাব দিয়েছেন ঋদ্ধ। মৌলানা আজাদ কলেজের এক ছাত্রী প্রথম তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনতেই বিস্ফোরণ। সামনে আসে আরও কুকীর্তি। ধ্রুপদী নাচের তালিম নেওয়া ওই ছাত্রীকে করা ঋদ্ধর মন্তব্য এখন ভাইরাল। এমন কথোপকথনের স্ক্রিনশটও প্রকাশ্যে এসেছে, যেখানে ঋদ্ধ বলছেন, “মার্ক্সের দিব্যি, সবটা তোমার আমার মধ্যেই থাকবে।”




অতীতেও নিজের কলেজের মেয়েদেরও উত্যক্ত করার রেকর্ড রয়েছে তাঁর। স্ক্রিনশট ভাইরাল হওয়ার পর প্রথমে ভুয়ো বলে প্রমাণ করার চেষ্টা হলেও পরে অভিযুক্ত নিজেই স্বীকার করে নেন তিনি ভুল করেছেন। ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, তাঁর অন্যায় হয়েছে এবং এর সঙ্গে দলের কোনও যোগাযোগ নেই। ‘মিটু’ নিয়ে জলঘোলা শুরু হতেই নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট উড়িয়ে দেন ঋদ্ধ।



এই বিষয়ে জেলার যুব সভাপতি দেবজ্যোতি দাসকে বারংবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। পরে রাজ্যনেতা সায়নদীপ মিত্রকে ফোনে ধরা হলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, “সংগঠন এমন কাজকে কখনই প্রশয় দেয় না। ঋদ্ধ জেলা কমিটির সদস্য। সংশ্লিষ্ট কমিটি বিষয়টি দেখছে এবং এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।”


অতীতে দলে এমন ঘটনা আরও ঘটেছে। জেলা স্তর এমনকি প্রাক্তন সর্বভারতীয় নেতার যৌন কেলঙ্কারিও ফাঁস হয়েছে। সিপিএম-এর রাজ্য কমিটির সদস্য তথা রাজ্যের যুব নেতার কথায়, সেগুলো একেবারেই নগন্য, ব্যক্তিগত সমস্যা। দল রেয়াত করবে না। তবে বলে রাখা ভাল, প্রেসিডেন্সির ভূবিদ্যা বিভাগের প্রাক্তনী তথা বাম ছাত্রযুব নেতার এমন কুরুচিকর কাজের নিন্দা করছেন দলেরই একাধিক মহিলা নেতাকর্মী। বামপন্থী সংগঠনে ‘ঘৃণ্য পিতৃতন্ত্রের চর্চা’ চলছে বলে সরব হয়েছেন অনেকে। উঠছে ঋদ্ধকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবিও।