কলকাতা:  মিডলটন রোয়ে কলেজছাত্রীর মৃত্যু ঘিরে এখনও রহস্য। ধন্দে তদন্তকারীরা। রুমমেটদের পাশাপাশি, পরিজন ও কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দফায় দফায় কথা বলছে পুলিশ।
জামশেদপুর থেকে কলকাতায় পড়তে এসেছিলেন। ভর্তি হয়েছিলেন শহরের নামী কলেজে। সেই কলেজের হস্টেলেই রিয়া চৌধুরীর রহস্যমৃত্যু! পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার শৌচাগারের দরজা দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকায় সকলের সন্দেহ হয়। এরপর দরজা ভেঙে প্রথম বর্ষের এই ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
সূত্রের খবর, মৃত তরুণীর ৪ রুমমেট জানিয়েছেন, একটি পরীক্ষার ফল নিয়ে চিন্তায় ছিলেন রিয়া। সোমবার কলেজ থেকে ফেরার পর কারও সঙ্গে কথা বলছিলেন না তিনি। এই বক্তব্য খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কারণ প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, বরাবরই পড়াশোনায় ভাল ছিলেন জামশেদপুরের এই তরুণী। মাঝরাতে উঠে পড়তে বসা ছিল তাঁর অভ্যেস। অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না তার খোঁজে মঙ্গলবারও হস্টেলে যায় পুলিশ।
মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে, মঙ্গলবার কলকাতায় আসেন মৃত কলেজ ছাত্রীর বাবা। যদিও এ নিয়ে মুখ খুলতে চাননি তিনি। তাহলে কেন চলে যেতে হল এই তরুণীকে? খতিয়ে দেখা হচ্ছে মৃতের মোবাইলের কল লিস্ট ও হোয়াটস অ্যাপ চ্যাট। কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলছেন তদন্তকারীরা।