কলকাতা: রাণাঘাট থেকে কলকাতা। রাস্তা হারিয়ে অসুস্থ হয়ে শেক্সপিয়র সরণীতে পড়েছিলেন বৃদ্ধ। সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর পেয়ে পাশে দাঁড়ালেন মিমি চক্রবর্তী। হাসপাতালে ভর্তি করা থেকে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া, কলকাতা পুলিশের সাহায্যে সামলালেন সমস্তটাই। ভবিষ্যৎ সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন যাদবপুরের সাংসদ।


প্রায় ১ মাস রাস্তার ধারে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে রয়েছেন এক অশীতিপর বৃদ্ধ। কলকাতার শেক্সপিয়ার সরণীর ব্যস্ত রাস্তাতেও এই দৃশ্য চোখে পড়েছিল অনেকের। বৃ্দ্ধের ছবি তুলে ফেসবুকে সাহায্য চেয়ে পোস্ট করেছিলেন আরাধনা চট্টোপাধ্যায় নামে এক মহিলা। কিছুক্ষণের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায় সেই পোস্ট।

  এই অবস্থাতেই রাস্তায় পড়েছিলেন অসুস্থ কুমুদ শীল।

 তাঁর ছবি পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেদন জানানো হয়।

 কুমুদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় কলকাতা পুলিশ।

গত ২২ অগাস্ট সোশ্যাল মিডিয়ার সেই ভাইরাল পোস্ট চোখে পড়ে যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর।এরপর কলকাতা পুলিশ ও তাঁর দলের সহযোগিতায় ওই ব্যক্তিকে শম্ভুনাথ পন্ডিত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসার নিয়মিত তদারকিও ব্যবস্থাও করেন তিনি। কুমুদ শীল নামে ওই ব্যক্তির খবর ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে তাঁর পরিবার সম্পর্কে খোঁজ পাওয়া যায়নি তখনও।

এরপর সোশ্যাল মিডিয়া দেখেই মিমির টিমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন রাণাঘাটের এক পরিবার। তাঁরা জানান, লকডাউনের সময় পেনশন তুলতে বেরিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধ। কিন্তু তারপর থেকে তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। কলকাতা পুলিশের অনুমতি নিয়ে বৃদ্ধের সঙ্গে দেখা করেন তাঁর পরিবার। তাঁরা আরও জানিয়েছেন, এই ব্যক্তি আর্মিদের সঙ্গে কাজ করতেন। কিন্তু কি করে তিনি রাণাঘাট থেকে কলকাতা চলে এলেন সেকথা বলতে পারেননি।

 শম্ভুনাথ পন্ডিত হাসপাতালে কুমুদ।

পরিবারের সঙ্গে কুমুদ।

ঘটনা প্রসঙ্গে কলকাতা পুলিশের ডিসি সাউথ মিরাজ খালিদ বলেছেন, 'মানুষের পাশে থাকা আমাদের কর্তব্য। সেজন্যই কুমুদবাবুর খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে সাহায্যের জন্য ছুটে গিয়েছিলাম। আগামীদিনে কোনও প্রয়োজন হলে আমরা সবসময় সাহায্যের চেষ্টা করব। আমরা চাই উনি সুস্থ থাকুন।'

আপাতত কুমুদকে রাণাঘাটেই ফিরিয়ে নিয়ে গেছেন পরিবারের সবাই। সেখানেই তাঁর বাকি চিকিৎসা হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে ভবিষ্যতেও সমস্তরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন মিমি।