কলকাতা: একজন যাদবপুর কেন্দ্র থেকে সদ্য নির্বাচিত সাংসদ। অন্যজন লোকসভায় পা রেখেছেন বসিরহাটের মানুষের ভোটে। মিমি চক্রবর্তী। নুসরত জাহান। বাংলা চলচিত্র জগতের উজ্জ্বল দুই মুখ। দিল্লির দরবারে পা রেখেই ফটাফট ছবি তুলে পোস্ট করেছেন দুই অভিনেত্রী-সাংসদ। পরনে ট্রাউজার-টপ। দু’জনের এ ধরনের ছবি দেখতে অনভ্যস্ত নয় দর্শক। কিন্তু নেটদুনিয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে, যেহেতু ছবিগুলির ব্যাকগ্রাউন্ডে সংসদ ভবন। তাছাড়াও সকলে ভ্রু কুঁচকেছেন, দুই অভিনেত্রীর পোশাক নিয়েও। পিটিআই সূত্রে খবর, নব নির্বাচিত সাংসদদের এ কেমন পোশাক? এই প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনদের একাংশ। বেশ কড়া ভাষায় দুই নায়িকার ছবি তোলা ও পোশাক নির্বাচনের সমালোচনা করেছেন তারা।






পিটিআই সূত্রে খবর, একজন তাদের পোশাক নির্বাচন নিয়ে সমালোচনা করে লিখেছেন, ‘কারও শেষকৃত্যে গেলে আপনি যেমন শৌখিন পোশাক, ভারি গয়নাগাটি পরবেন না, আবার বিয়েবাড়িতে শোকার্তর মতো সেজে যাবেন না, তেমনই সংসদের জন্য এ ধরনের পোশাক অশালীন নয়, অনুপযুক্ত।’
কেউ কেউ আবার লিখেছেন, এইসব পোশাক পেজ থ্রি পার্টি, পার্কে বা মলে ঘুরে বেড়ানোর জন্য ভাল, কিন্ত সংসদ ভবনে যাবার জন্য নয়।
একজন আবার লিখেছেন,‘সংসদ ভবন গণতন্ত্রের মন্দির, টিকটক করার জায়গা নয়।’
নেটিজেনদের কেউ কেউ তাঁদের মনে করিয়ে দেন, তাঁরা সংসদে দেশের কাজের জন্য গেছেন, ছবি তোলার জন্য নয়!






কেউ কেউ আবার এই বিতর্কে মিমি নুসরতের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এমনই এক বার্তায় বলা হয়েছে, দুজন প্রাপ্তবয়ষ্ক মানুষের সম্পূর্ণ অধিকার আছে, তাঁরা কী পরবেন ঠিক করার। এই নিয়ে যাঁরা কথা বলেন, তাঁরা নিজেদের উদারপন্থী বলেন কীভাবে?
অনেকেই দুই নবনির্বাচিত নেত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।



এই বিষয়ে দুই অভিনেত্রীর প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে, নুসরত ফোনের উত্তর দেননি। অন্যদিকে মিমির ম্যানেজার রুদ্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মিমি ভোটে দাঁড়ানোর পর থেকেই এ ধরনের নানা মন্তব্য করা হচ্ছে। যারা করছেন, তারা তাদের নিজেদের প্রচারের জন্যই করছেন।