কলকাতা:  কলকাতায় বিমান সেবিকার কোর্স করতে এসে নিখোঁজ তরুণী সুস্মিতা রায়ের মৃতদেহ উদ্ধার। পোশাক, জুতো এবং হাতের কাটা দাগ দেখে দেহ সনাক্ত করেছে মা-বাবা এবং ভাইয়েরা।

সূত্রের খবর, সোমবার গঙ্গার ঘাট থেকে উত্তর বন্দর থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে। পরিবারের দাবি, ১০ ডিসেম্বর থেকে সুস্মিতা নিখোঁজ হয়ে যান। গতকাল এই নিয়ে কালীঘাট থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। সুস্মিতাকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি মা-বাবার। দেহ উদ্ধারের পর ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।

ঝাড়খণ্ডের ঘাটশিলা থেকে কলকাতায় বিমান সেবিকার কোর্স করতে এসেছিলেন সুস্মিতা। পেয়িং গেস্ট হিসেবে থাকতেন কালীঘাটের ঈশ্বর গাঙ্গুলি স্ট্রিটের এক বাড়িতে।

সেখান থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান তরুণী সুস্মিতা রায়! পরিবার সূত্রে দাবি করা হয়, ১০ ডিসেম্বর থেকে তারা সুস্মিতাকে ফোনে পাচ্ছিলেন না। সুস্মিতা কোথায় বলতে পারেননি বাড়িওয়ালা এবং রুমমেটরা।

এরপর মেয়ের খোঁজে ঘাটশিলা থেকে কলকাতায় চলে আসে উদ্বিগ্ন পরিবার। কালীঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।

মেসের এক আবাসিক জানায়, তরুণীর কাছে ফোন আসলে, মেয়েটি খুব চেঁচাত। অন্য জায়গায় গিয়ে কথা বলত। কারও নামে নম্বর সেভ করা থাকত না, ফোন আসলেই সুস্মিতা আড়ালে চলে যেতেন, জানায় এক রুমমেট।

পরিবারের দাবি, সম্প্রতি ঘাটশিলা থেকে কয়েকজন সুস্মিতাকে ফোনে উত্যক্ত করছিল, তাঁকে হুমকিও দেওয়া হত!

মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন খতিয়ে দেখে জানা যায়, শেষবার ধর্মতলায় ছিলেন সুস্মিতা! তারপর থেকে মোবাইল সুইচড অফ ছিল ওই তরুণীর!