কলকাতা:  রবিবার রাতের বৃষ্টি কিছুটা স্বস্তি দিলেও, সোমবার বেলা গড়ালেই ফের অস্বস্তি বাড়বে শহর কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলাগুলিতে। বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকায়, তৈরি হবে ঘর্মাক্ত পরিস্থিতি। গতকাল জেলায় জেলায় বৃষ্টি হয়েছে।


পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়া ও পুরুলিয়ায় বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। বীরভূমে ঝড়ে গাছ পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে, আজ শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। বিকেল অথবা সন্ধের দিকে কলকাতা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গেই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস। পশ্চিমাঞ্চলেও পারদ কিছুটা নিম্নমুখী থাকবে।

রবিবার রাতে জেলায় জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির খবর পাওয়া গিয়েছে। সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়া। পশ্চিম বর্ধমান ও পুরুলিয়ায় বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। বীরভূমে ঝড়ে গাছ পড়ে মৃত্যু হয়েছে আরও একজনের।

পশ্চিম বর্ধমানে গতকালের ঝড়ের দাপটে বহু জায়গায় গাছ উপড়ে পড়ে। রাত ১১টা পর্যন্ত একটানা বৃষ্টিতে বেশ কয়েকটি জায়গায় জল দাঁড়িয়ে যায়। আসানসোলের জামুড়িয়ায় বাজ পড়ে ২ জনের মৃত্যু হয়।

বৃষ্টি হয়েছে পুরুলিয়াতেও। সঙ্গে ছিল ঝড়ের দাপট। পারায় বাজ পড়ে মৃত্যু হয় ২ জনের।

বীরভূমে সন্ধে থেকে বৃষ্টি নামে। একটানা বৃষ্টির পাশাপাশি ছিল ঝোড়ো হাওয়াও। ময়ূরেশ্বরে ঝড়ে গাছ পড়ে একজনের মৃত্যু হয়। বেশ কয়েক জায়গায় রাস্তার ওপর গাছ উপড়ে পড়ে।

মুর্শিদাবাদের বহরমপুর, জঙ্গিপুর, রঘুনাথগঞ্জ, কান্দি, ডোমকল, ইসলামপুর, লালবাগ-সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে গতকাল বৃষ্টি হয়েছে। ছিল ঝোড়ো হাওয়ার দাপট। ক্ষতি হয়েছে আম চাষের। বৃষ্টির কারণে বহরমপুর গির্জার মোড় সংলগ্ন এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ঘণ্টাদুয়েক ধরে তীব্র যানজট দেখা দেয়। পরে সেটা স্বাভাবিক হয়ে যায়।