কলকাতা ও নয়াদিল্লি: বিজেপি সাম্প্রদায়িক নয় বলে মন্তব্য করলেন মুকুল রায়। যার জবাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, উনি টিউবলাইট। দেরিতে বুঝলেন। মুকুল রায়ের মতো নেতা যে দলে যাবেন সেই দল লাভবান হবে, প্রতিক্রিয়া দিলীপ ঘোষের।
এদিন তৃণমূল সাংসদপদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন মুকুল রায়। বলেন, বিজেপি সাম্প্রদায়িক নয়। তিনি জানান, বিজেপির একাধিক নেতার সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক রয়েছে। বলেন, বিজেপির সঙ্গে এখন ভাল যোগাযোগ আছে।
অরুণ জেটলি কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে সম্পর্ক ভাল। আমি কী করব কী না করব, কী সমস্যা তা নিয়ে কথা হয়েছে। এর জবাবে তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় কটাক্ষ করতে ছাড়েননি দলত্যাগী মুকুল রায়কে। বলেন, মুকুল তো টিউবলাইট। অনেক দেরিতে জ্বলে ওঠে। অনেক গুঁতো খেয়ে বুঝতে পারলেন বিজেপি সাম্প্রদায়িক নয়।
এদিন নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা পুরোপুরি খোলসা না করলেও, বিজেপিতে যোগদান নিয়ে জল্পনা উস্কে দেন মুকুল। বলেন, এখন কদিন ছুটি কাটাবো। অন্য দল গঠন করব বা অন্য দলে যোগ দিলে জানাব। এই বিষয়টিকেও হাতিয়ার করে মুকুলকে আক্রমণ করেছেন পার্থ। বলেন, কিছুক্ষণ আগে কাঁচরাপাড়ার কাঁচরাগল্প শুনলাম মিষ্টি কথা বলে বিজেপিতে ঢোকার চেষ্টা করেছেন।
তৃণমূল ছাড়তেই বিজেপি সম্পর্কে প্রশংসার সুর মুকুল রায়ের গলায়। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনের ছত্রে ছত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করেন মুকুল রায়। বলেন, এক দশক মানুষ সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার দিয়েছে। মানুষ এক্ষেত্রে ভুল করেনি। জাতীয় দল দেশের জন্য ভাল। কখনও আবার অমিত শাহের ছেলেকে আড়াল করার চেষ্টা করতে দেখা গেল মুকুল রায়কে। বলেন, অমিত শাহের ছেলে তো রাজনীতিতে নেই।
তৃণমূল যখন মুকুলের বিরোধী, বিজেপি তখন কার্যত বন্ধুর ভূমিকায়। মুকুলের প্রশংসার পাল্টা প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিজেপিও। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়ে দেন, মুকুল রায় যে দলেই যাবেন, তার মঙ্গল হবে।
এদিন দিলীপ বলেন, মুকুল রায়ের মতো নেতা যে দলে যাবেন সেই দল লাভবান হবে। দিলীপ ঘোষের দাবি, মুকুল রায় সবসময় অনুঘটকের কাজ করে এসেছেন। বলেন, ১৫ বছর ধরে আমাদের সঙ্গে তৃণমূল ঘর করেছে। মুকুলকে দিয়ে আমাদের সঙ্গে অনেক সেটিং করিয়েছে। এখন উনি বেরিয়ে বলে দিয়েছেন।
যদিও, মুকুলের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে ধোঁয়াশা জিইয়ে রাখলেন তিনিও। দিলীপ বলেন, যতক্ষণ না মুকুল রায় বলছেন, বিজেপিতে যাব, ততক্ষণ আমাদের কোনও কাজ নেই। বিজেপিতে মুকুলকে নেওয়া হবে কিনা, আলোচনার পর ঠিক হবে। মুকুল রায় অনেক নেতা-নেত্রীর সঙ্গে বৈঠক করছেন। উনিই ঠিক করুন, কী করবেন।