পাল্টা জবাবে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, এঁদের গভীরতা কম।মমতা এঁদের আড়াল করে রাখতেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদেশ সফর নিয়েও কটাক্ষ করেছেন মুকুল। মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় জ্যোতি বসু লন্ডনে যেতেন। সেই রোগ এখন মমতার ধরেছে। তা-ও জ্যোতি বাবু এত লোক নিয়ে যেতেন না। মমতা যান সপার্ষদ।
নাম না করে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন,কন্যাশ্রীর সম্মান আনতে গিয়েছিলাম। নিবেদিতার অনুষ্ঠানে যেতে গর্ব হয়। বাংলা যদি বিশ্বের দরবারে যায় আপত্তি কোথায়? বিশ্ব যদি বাংলায় আসে আপত্তি কোথায়?
মুখ্যমন্ত্রী কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের সূচনা করার কিছুক্ষণ আগে এনিয়েও খোঁচা দিতে ছাড়েননি তাঁর একদা বিশ্বস্ত অনুগামী। মুকুলের কটাক্ষ, ২০০৬-এর কথা মনে পড়ছে।একদিকে মানুষ মরছে, আর তখনকার মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য চলচ্চিত্র উৎসবে ঘণ্টা বাজাচ্ছেন। আর এখন বাংলায় ডেঙ্গিতে মারা যাচ্ছে, নাচা গানার জন্য মমতা প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে নাম না করে জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, বাংলায় উৎসব হলে আপত্তি কোথায়? ১২ মাসে ১৩ পার্বণ, এটাই বাংলার সংস্কৃতি।
কৃষি, শিল্প থেকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, ইস্যু ধরে ধরে কটাক্ষ করেছেন মুকুল।তাঁর অভিযোগ, স্বাস্থ্য আরও খারাপ হয়েছে। কৃষির উন্নতি হয়নি। শিল্পপতি আসেনি। সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসক নেই।
উন্নয়নের দাবিতে ভর করে পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও। পার্থ বলেছেন, তৃণমূলের আমলে উন্নতি চোখে পড়ার মতো।
সব মিলিয়ে মুকুল-তৃণমূল তরজা ঘিরে এখন উত্তপ্ত রাজনীতি।