কলকাতা: ভোটের মাঝে, নারদ নিয়ে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়ালেন খোদ মুকুল রায়। বললেন, যাঁদের ছবি দেখা গিয়েছে তাঁরা কেউ ব্যক্তিগত কাজে, নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এক পয়সা খরচ করেননি। তা হলে কি সবই দলের স্বার্থে? এই মন্তব্য করে কি দলের শীর্ষ নেতৃত্বর ঘাড়ে দায় চাপালেন মুকুল? প্রশ্ন বিরোধীদের।


নারদা কাণ্ড নিয়ে বিরোধীরা যখন দিন দিন চাপ বাড়াচ্ছে, তখন তৃণমূলের অন্যতম সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়ের গলায় ফের নয়া তত্ত্ব। কয়েক দিন আগেও একই দাবি করেন মুকুল রায়।

গত ১৫ এপ্রিল মুকুল রায় মন্তব্য করেন, ঠিক নির্বাচনের আগে একটা নতুন জিনিস আমদানি হল। কি না..স্টিংকাণ্ড। স্টিংকাণ্ডে ছবি দেখানো হচ্ছে। এ টাকা নিচ্ছে, ও টাকা নিচ্ছে। মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, দলীয় পর্যায়ে তদন্ত হবে। এটা আমি অত্যন্ত দায়িত্বের সঙ্গে বলে যেতে চাই, যাঁদের ছবি দেখছেন, তাঁরা কেউ ব্যক্তিগত কাজে, নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য নিজের সুবিধের জন্য এক পয়সা খরচ করেনি। তদন্ত হোক। তদন্তে সব বেরিয়ে যাবে।

এর আগে অবশ্য নারদ নিউজ স্টিং ফুটেজ নিয়ে মুকুল রায়ের গলায় শোনা গিয়েছে ভিন্ন তত্ত্ব। কখনও তিনি দাবি করেছেন, ফুটেজ জাল।

এরপর মুকুল দাবি করেন, তহেলকাকাণ্ডের সময় বিজেপির তৎকালীন সর্বভারতীয় সভাপতি বঙ্গারু লক্ষ্মণের ঘুষ নেওয়ার যে ভিডিও সামনে এসেছিল, তাও না কি নকল ছিল!
যদিও, বাস্তবটা হল, বঙ্গারু লক্ষ্মণের ঘুষের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছিল। তাঁর সাজাও হয়েছিল। বিরোধীরা কটাক্ষ করে বলছে, নারদের চাপ কতটা তা মুকুল রায়ের বার বার সুর বদল থেকেই বোঝা যাচ্ছে। এখন তাঁর দাবি,

এটা আমি অত্যন্ত দায়িত্বের সঙ্গে বলে যেতে চাই, যাঁদের ছবি দেখছেন, তাঁরা কেউ ব্যক্তিগত কাজে, নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য নিজের সুবিধের জন্য এক পয়সা খরচ করেনি।

মুকুল রায়ের এই মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিরোধীদের প্রশ্ন, মুকুল রায় কি তা হলে বোঝাতে চাইলেন, সবই দলের জন্য? কিন্তু, তাঁর দলে তো একজনই সব! তা হলে কি শীর্ষ নেতৃত্বের ঘাড়ে দায় চাপালেন মুকুল? এই জল্পনার মাঝেই, নারদকাণ্ড নিয়ে বিরোধীরা এ দিন ফের সুর চড়ায়।

পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, ভোটের মধ্যে নতুন তত্ত্ব খাড়া করতে গিয়ে নয়া বিতর্ক উস্কে দিলেন মুকুল রায়।