ট্রেন্ডিং

রাস্তা থেকে কুড়িয়ে এনে মানুষ করেছিলেন , সেই মা-কেই খুন করল ১৩ বছরের মেয়ে!

অপহৃত বাবার ক্ষতবিক্ষত দেহ ফিরেছিল, ভাই বাঁচে প্রাণের জোরে, বালুচিস্তান মেয়ে মাহরাং বন্দি পাকিস্তানের ‘টর্চার সেলে’

চাকরিহারা শিক্ষকদের আন্দোলনকে 'নাটক' বললেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম

মহাকাশে বরফের আলপনা? মধ্যিখানে নবীন সূর্য, ছবি তুলল James Webb Telescope

বাংলাদেশি নাগরিক মুর্শিদাবাদের মাদ্রাসা শিক্ষক, পাচ্ছিলেন ইমামভাতাও? ফের কাঁটাতার পেরোতে গিয়ে গ্রেফতার
'আল্লাহ যেন পাকিস্তানের লেজ সোজা করে দেন' হজযাত্রীদের প্রার্থনা করতে বললেন ওয়াইসি
নারদকাণ্ড: রাজ্য সরকারের তদন্তকে গুরুত্ব দিতে নারাজ হাইকোর্ট
Continues below advertisement

কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশানুসারে নারদকাণ্ডে কলকাতা পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়াকে গুরুত্ব দিতে নারাদ হাইকোর্ট।
সোমবার নারদ-মামলার শুনানিতে এই কাণ্ডে রাজ্যের তদন্ত কমিটির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টচার্য। যার উত্তরে প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, ‘কে কী বলছে বা কে কী করছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। আমরা যা নির্দেশ দেব, সেটাই শেষ কথা।’ প্রধান বিচারপতি এ-ও যোগ করেন, এই প্রসঙ্গে ‘কারও কোনও আপত্তি থাকলে, আদালতের পথ খোলা।’
শুক্রবারই নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, রাজ্য সরকার এই ঘটনার তদন্ত করবে। পরের দিন, অর্থাৎ শনিবার রাতে নিউ মার্কেট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন মেয়র তথা দমকলমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়।
পুলিশ সূত্রে দাবি, লিখিত অভিযোগপত্রে রত্না চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, স্টিং অপারেশনের মাধ্যমে চক্রান্ত করে, ব্যক্তি এবং মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সম্মানহানি করা হয়েছে। তাই ‘নারদ ডট কম’ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
নারদ নিউজের স্টিংয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের যে ছবি দেখা যায়, তা কলকাতা পুরসভার ভিতরের। তাই নিউ মার্কেট থানাতেই অভিযোগ দায়ের করেন মেয়র-পত্নী। সেখানে তখন ছিলেন লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের অফিসাররাও।
মেয়র-পত্নীর অভিযোগের ভিত্তিতে, ১২০বি ধারায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, ৪৬৯ ধারায় সম্মানহানির উদ্দেশ্যে জালিয়াতি, ১৭১ জি ধারায় নির্বাচনের প্রার্থীর বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত কুৎসা ছড়ানো, ৫০০ ধারায় মানহানি, ৫০৫ (১)(বি) ধারায় জনমানসে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরির মামলা রুজু করেছে।
এই মামলার তদন্তের জন্য জালিয়াতি দমন শাখার অফিসারদের নিয়ে বিশেষ তদন্তকারী দলও তৈরি করা হয়েছে। যার নেতৃত্বে রয়েছেন একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী এই তদন্ত তদারকি করবেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার।
এই ধারা দেখে বিরোধীদের দাবি, ঘুষকাণ্ডের তদন্ত হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী যে চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন, তদন্ত হচ্ছে সেই লাইন ধরে। বিরোধীদের প্রশ্ন, এটা আদতে কীসের তদন্ত হচ্ছে? তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী-সাংসদদের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের, না মুখ্যমন্ত্রীর চক্রান্তের অভিযোগের?
অন্যদিকে, তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা ইতিমধ্যেই তদন্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। । একই সুর শোনা গেল সারদাকাণ্ডে জেল বন্দি মদন মিত্রর মুখে। নারদ নিউজের স্টিং ফুটেজ অনুযায়ী, যাঁকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। তিনি বলেন, মমতা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ভাল তো। সবাই এতদিন বলছিল, তদন্ত হচ্ছে না কেন, এখন বলছে তদন্ত হচ্ছে কেন।
যদিও, রাজ্য সরকারের এই তদন্ত প্রক্রিয়াকে যে গুরুত্ব দিতে নারাজ কলকাতা হাইকোর্ট, এদিন প্রধান বিচারপতির মন্তব্যেই পরিষ্কার। এই মামলায় শুনানি আগামী শুক্রবার।
Continues below advertisement
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে