কলকাতা: একদিকে মন্ত্রী-সাংসদদের নোটিস, অন্যদিকে জিজ্ঞাসাবাদ, ভয়েস স্যাম্পল সংগ্রহ। নারদকাণ্ডে তৎপর সিবিআই ও ইডি।
তৃণমূল সাংসদ সুলতান আহমেদ ও তৃণমূল বিধায়ক তথা কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র ইকবাল আহমেদের ভয়েস স্যাম্পল চেয়েছিল সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে দাবি, কন্ঠস্বরের নমুনা দিতে অস্বীকার করেন বিধায়ক ও সাংসদ। কিন্তু সিবিআইও নাছোড়। শেষমেশ দূরদর্শনের কাছ থেকে সাংসদ ও বিধায়কের শপথগ্রহণের ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। সেখান থেকে ভয়েস স্যাম্পল নিয়ে ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে।
এর পাশাপাশি নারদকাণ্ডে বুধবার রাতে পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কেও তলব করে সিবিআই। বৃহস্পতিবার, সিবিআইকে আইনজীবী মারফত সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, ২১ জুলাইয়ের পর তিনি যাবেন।



সিবিআই সূত্রে খবর, নারদকাণ্ডে তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকেও নোটিস পাঠানো হয়েছে। সিবিআই সূত্রে দাবি, একাধিকবার সাংসদকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। ফোনে না পেয়ে ইমেল করে সোমবার তাঁকে তলব করা হয়েছে। যদিও এবিষয়ে কাকলি ঘোষ দস্তিদারের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
একদিকে সিবিআই...তো আরেকদিকে ইডি। এদিন প্রায় ৫ ঘণ্টা তৃণমূল সাংসদ সুলতান আহমেদকে জিজ্ঞাসাদ করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সূত্রের খবর, নির্বাচনী তহবিলের জন্য নারদ নিউজের কর্ণধার ম্যাথ্যু স্যামুয়েলের কাছ থেকে টাকা নেন বলে দাবি করেন সুলতান।
সূত্রের খবর, এর আগে সিবিআইয়ের কাছেও একই দাবি করেন তৃণমূল সাংসদ। নারদকাণ্ডে আরেক তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কেও তলব করেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি যাওয়ায় বুধবার হাজিরা দিতে পারেননি তিনি।