কলকাতা: হাইকোর্টের নারদ-রায়ের পর তৎপর সিবিআই। তদন্তের রূপরেখা ঠিক করতে জরুরি বৈঠক। তদন্তকারী অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে দুর্নীতি দমন শাখার এসপি নাগেন্দ্র প্রসাদকে। সিবিআই সূত্রে এমনটাই খবর।
নারদ মামলায় হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন নির্দেশ দেয়, সিবিআইকে অবিলম্বে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যাবতীয় নথি এবং চণ্ডীগড় থেকে আসা কেন্দ্রীয় ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির রিপোর্ট হাইকোর্টের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে হবে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষ করে, প্রয়োজনে মামলা রুজু করে তদন্তের পথে এগোতে হবে সিবিআইকে।
হাইকোর্টের এই নির্দেশের পর তৎপর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। যেহেতু ৭২ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছে আদালত। সিবিআই সূত্রে খবর, সেক্ষেত্রে প্রথম কাজ, নারদ নিউজের স্টিং অপারেশনের ফুটেজ খতিয়ে দেখা। এর পাশাপাশি দুর্নীতির অভিযোগেরও তদন্ত করে দেখবে সিবিআই।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, কী বলে টাকা দেওয়া হয়েছে, আর কী বলে টাকা নেওয়া হয়েছে, এই দু’টি বিষয় নিয়ে তদন্ত হবে।
এরপরই দুর্নীতি দমন আইনে মামলা রুজু করা যায় কি না, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করবে সিবিআই।
সূত্রের খবর, সেক্ষেত্রে যদি মনে হয়, আদালতকে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের কথা বলতে পারে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সিবিআইয়ের আইনজীবী মহম্মদ আসাফ আলি বলেন, অফিসারদের ইনফর্ম করেছি, যদি ঘুষ দিয়ে থাকে, তাহলে দুর্নীতি দমন আইনে মামলা হতে পারে।
হাইকোর্টের নির্দেশের পরই শুক্রবার বিকেলে, আধিকারিকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন সিবিআইয়ের কলকাতা জোনের প্রধান অভয় সিংহ।
সিবিআই সূত্রে খবর, কোন পথে তদন্ত এগোবে, তার রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে। আদালতের রায়ের কপি পাঠানো হচ্ছে দিল্লিতে সিবিআই সদর দফতরে। দিল্লির হেড কোয়ার্টার থেকেই ঠিক করে দেওয়া হবে, ক’জনের তদন্তকারী দল গঠন হবে, তদন্তকারী অফিসার কে হবেন।
সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার এসপি নাগেন্দ্র প্রসাদকে তদন্তকারী অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। কারণ নারদ মামলায় হাইকোর্টের গঠিত ৩ সদস্যের কমিটির সদস্য ছিলেন নাগেন্দ্র প্রসাদ। নারদের স্টিং ফুটেজে যাদের দেখা গিয়েছে, প্রয়োজনে আগামী তিনদিনের মধ্যে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।