এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক পরীক্ষার নতুন রূপ:
- মাধ্যমিকে লিখিত পরীক্ষা হবে ৯০ নম্বরের।
- থাকছে না কোনও মৌখিক পরীক্ষা।
- মৌখিকের ১০ নম্বর দেওয়া হবে স্কুলের পর্য়ায়ক্রমিক মূল্যায়ন থেকে।
- ৯০ নম্বরের মধ্যে মাল্টিপল চয়েস ও ১ নম্বরের অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন থাকবে মোট ৩৬ নন্বরের।
- ১ নম্বরের অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের সঙ্গে অঙ্কে থাকবে ২ নম্বরের প্রশ্ন।
- সার্বিকভাবে ৩ নম্বর ও ৫ নম্বরের প্রশ্নের ছড়াছড়ি।
- ইতিহাসে প্রশ্নের সর্বোচ্চ নম্বর ৮, ভাষায় ১০।
কিন্তু কেন এই পরিবর্তন?
বোর্ডের ব্যাখ্যা, অন্য বোর্ডের ছেলেদের তুলনায় পিছিয়ে পড়া আটকাতেই এই উদ্যোগ। যে বোর্ডকে টক্কর দিতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এই উদ্যোগ, কেমন হয় সেই দিল্লি বোর্ডের প্রশ্ন? ওই বোর্ডের শিক্ষকরা জানিয়েছেন, আইসিএসই-দশম শ্রেণির রসায়ন পরীক্ষায় কখনও কখনও মাল্টিপল চয়েস থাকলেও অন্য বিষয়ে থাকেই না। সিবিএসই-তে মাল্টিপল চয়েস থাকে ২০ শতাংশ। ১ নম্বরের প্রশ্ন বড়জোর ৫ থেকে ১০ শতাংশ। তাও সব বিষয়ে নয়।
এই প্রেক্ষিতে শিক্ষাবিদদের একাংশের প্রশ্ন, পর্ষদের নতুন উদ্যোগে মাধ্যমিকে প্রচুর নম্বর উঠবে ঠিকই, কিন্তু শিক্ষার গভীরতা বাড়বে কি?
বালিগঞ্জ শিক্ষা সদনের ছাত্রী দীক্ষা সাউ। নিউ আলিপুর মাল্টিপারপাস স্কুলে সঞ্চালন দাশগুপ্ত। দু’জনেই মাধ্যমিক দেবে আগামী বছর। পর্ষদের নম্বর বিভাজনের উদ্যোগে খুবই খুশি তারা।
এবছর মাধ্যমিকে নিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল, ১০ লক্ষ ৪৭ হাজার ৬৫২। পাস করেছে ৮ লক্ষ ৬৬ হাজার ৯২০ জন। বোর্ড সূত্রে খবর, উত্তীর্ণদের বেশিরভাগেরই প্রাপ্ত নম্বর ৬০ শতাংশের নীচে।
মাধ্যমিকের ফলাফলে যেখানে মধ্যমেধার দাপট, সেখানে পর্ষদের এই উদ্যোগ হিতে বিপরীত হবে না তো? এই পদ্ধতি পরীক্ষার্থীদের হল কালেকশনের চেষ্টাকে প্রশ্রয় দেবে না তো?
প্রশ্ন শিক্ষামহলের একাংশের।