কলকাতা: আজও সেই পণপ্রথার অন্ধকার। বাগুইআটিতে পণ না পেয়ে গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ। গ্রেফতার মৃতের স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি।
সোদপুরের পিয়ারলেস নগরের বাসিন্দা কাজল বর্মনের সঙ্গে সম্বন্ধ করে গত ১৩ ডিসেম্বর বিয়ে হয় বাগুইআটির বাসিন্দা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়র লিঙ্কন দাসের। বিয়ের ফুল এখনও শোকায়নি। এখনও বাড়িতে ঘটটা আছে।
নেই শুধু সেই মেয়েটা, যে নতুন বাড়িতে ঘর বাঁধতে গিয়েছিল। মঙ্গলবার অষ্টমঙ্গলায় বাপের বাড়ি ফেরার কথা ছিল কাজলের। কিন্তু, তার আগেই সব শেষ। বাপের বাড়ির লোকেদের দাবি, সোমবার রাতে ফোনে তাঁদের জানানো হয়, কাজল অসুস্থ। তাঁকে নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে গিয়ে তাঁরা দেখেন, কাজল আর নেই। পুলিশ সূত্রে খবর, ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। হাতে, গলায় এবং গালে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
মৃত গৃহবধূর বাপের বাড়ির দাবি, কাজলকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। কিন্তু, কেন এ ভাবে খুন? মৃতের পরিবারের দাবি, ছেলের বাড়ি থেকে আইফোন-সহ ১০ লক্ষ টাকা পণ চাওয়া হয়েছিল। আইফোন দিলেও পুরো টাকাটা এক বারে তাঁরা দিতে পারেননি। অভিযোগ, এতেই বিয়ের পর থেকে নতুন বউয়ের উপর শুরু হয় অত্যাচার।
মৃতের বাড়ির লোকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাগুইআটি থানা ৩০৪-এর বি ধারায় পণ না পেয়ে বধূহত্যার অভিযোগে মামলা রুজু করে। গ্রেফতার করে অভিযুক্ত স্বামী লিঙ্কন দাস, তাঁর বাবা নারায়ণচন্দ্র দাস এবং মা কৃষ্ণা দাসকে। ধৃতরা অভিযোগ অস্বীকার করে আত্মহত্যার তত্ত্ব খাড়া করার চেষ্টা করেছেন। ২৮ বছরের গৃহবধূ কাজলের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য আরজি কর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।