কলকাতা: নাগরিকপঞ্জী নিয়ে মন্তব্য করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করায় অসম পুলিশকে আক্রমণ করল তৃণমূল কংগ্রেস। দল জানিয়ে দিল, তারা ভীত নন। এসব করে মমতাকে রোখাও যাবে না।
বুধবার, নাগরিকপঞ্জী ইস্যুতে অসম প্রশাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি অভিযোগ করেন, অসম থেকে বাঙালিদের তাড়িয়ে দিতে নাগরিকপঞ্জীর প্রথম খসড়া থেকে তাঁদের বাদ দিয়ে ‘ষড়যন্ত্র’ করছে বিজেপি। এর জন্য বৃহস্পতিবার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে অসমের কৃষক, শ্রমিক, কল্যাণ পরিষদ। তার প্রেক্ষিতেই মামলা রুজু করে অসম পুলিশ।
এদিন প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, বিজেপি ও অসম সরকার যদি মনে করে তারা এফআইআর দায়ের করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলকে বাঙালিদের হয়ে সওয়াল করা থেকে আটকাতে পারবে, তাহলে তারা মুর্খের স্বর্গে বসবাস করছে।
তিনি বলেন, এধরনের পুলিশি মামলা ও এফআইআর দিয়ে বাঙালিদের জন্য মমতার লড়াই থামানো সম্ভব নয়। অসম থেকে বাঙালিদের তাড়ানোর এই কৌশল আমরা জানি। বাঙালিরা যদি সমস্যায় পড়েন, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল চুপ বসে থাকবে না। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতে, বাঙালিদের নাম বাদ দিলে তো বলতেই হবে। মামলা করে ভয় দেখানো যাবে না।
অসমের নাগরিক তালিকা ইস্যুতে, বিজেপিকে নিশানা করে এ দিন সকালে সংসদ চত্বরে ধরনা শুরু করে তৃণমূল। লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এখন সংসদের ভিতরে-বাইরে প্রতিবাদ। দ্বিতীয় তালিকায় ত্রুটি থাকলে রাস্তায় নামবে তৃণমূল।
এরপর সংসদের ভিতরেও সুর চড়ায় তৃণমূল। লোকসভায় সাংসদ সৌগত রায় বলেন, বাঙালিদের অসম থেকে তাড়াতে চক্রান্ত, তাই লিস্টে চক্রান্ত।
তৃণমূলের সঙ্গে সরব হয় কংগ্রেসও। সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, সংসদের ভিতরে রাজনাথ একরকম বলছেন, বাইরে বিজেপির মন্ত্রী এবং অসমের মুখ্যমন্ত্রী অন্যরকম বলছেন। সুপ্রিম কোর্টকে আমরাও সম্মান করি। কিন্তু যে ভাবে কার্যকর করা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
যদিও, বিরোধীদের চক্রান্তের অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা জবাব দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, ভিত্তিহীন অভিযোগ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এই তালিকা তৈরি হচ্ছে। বৈধ কোনও নাগরিকের নাম বাদ যাবে না।