কলকাতা: ফের শহরের বুকে হাসপাতালে ঢুকে তাণ্ডব। আবারও আক্রান্ত জুনিয়র ডাক্তাররা। এবার একেবারে অপারেশন থিয়েটারের ভিতর ঢুকে গুলি করে খুনের হুমকি।

ঘটনার সূত্রপাত বেলেঘাটার নারকেলডাঙায়। রবিবার রাতে, তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। সংঘর্ষে, কাওলেশ নামে এক যুবক ধারাল অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়। তাঁকে ভর্তি করা হয় এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে। কিন্তু, সেখানে ঠিক মতো চিকিৎ‍সা করা হচ্ছে না এই অভিযোগে তাঁর সতীর্থরা জুনিয়র ডাক্তারদের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। তাও একেবারে অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে। অভিযোগ,

দল বেঁধে কয়েকজন অপারেশন থিয়েটারের দরজা খুলে ঢুকে পড়ে। সেখানে কর্তব্যরত চারজন জুনিয়র চিকিৎ‍সককে বেধড়ক মারধর শুরু করে দেয়। অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায় নামে এক জুনিয়র চিকিৎ‍সকের চোখে ঘুষি মারা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। বাকি তিন জুনিয়র ডাক্তারকেও ওটির মধ্যে মাটিতে ফেলে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি, গুলি করে খুনের হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।

এনআরএস কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, ঘটনার সময় হাসপাতালে পুলিশ থাকলেও, তাঁরা পরিস্থিতি সামলাতে পারেনি। পরে আরও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।



জুনিয়র ডাক্তারদের উপর হামলার ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে এন্টালি থানার পুলিশ।

তাদের বিরুদ্ধে কর্তব্যরত চিকিৎ‍সকদের কাজে বাধা, মারধর, হুমকি-সহ বেশ কিছু ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। ধৃতদের ১৪ জুন পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিয়ালদা আদালত।

কিন্তু, কেন এ ভাবে হাসপাতালের মধ্যে বার বার চিকিৎ‍সকদের আক্রান্ত হতে হবে? এই প্রশ্ন ফের উঠে গেল। সোমবার, পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এনআরএসে পুলিশি নিরাপত্তা আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এদিকে কাওলেশ নামে যে যুবকের চিকিৎ‍সায় গাফিলতির অভিযোগে এত কাণ্ড, সে রাতেই মারা যায়। এই ঘটনায় নারকেলডাঙা থানার পুলিশ ৩০২ ধারায় খুনের মামলা রুজু করেছে। ওমপ্রকাশ সিংহ নামে একজকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। যে রবিবার রাতে সংঘর্ষে জড়িত একটি গোষ্ঠীর অনুগামী বলে পরিচিত।